এই সময়, আসানসোল: তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গল থেকে বাংলার আসানসোল — সাত হাজার ৩৮৩ কোটি টাকার রেলওয়ে করিডর প্রকল্পকে শেষ পর্যন্ত সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক। শনিবারই ক্যাবিনেটের অনুমোদন পেয়েছে এই প্রকল্প। এ জন্য খরচ হবে ৭৩৮৩ কোটি টাকা। আগামী ৬ বছরে কাজ শেষ হবে বলে জানানো হয়েছে।ওয়ারাঙ্গল থেকে আসানসোল আসার পথে এই করিডর গুনুপুর-থিরুবলি, জুনাগড়-নবরঙপুর এবং মালকালগিরি-পান্ডুরঙ্গপুরম — পর পর তিনটি নতুন পাতা লাইন পার করবে। আর তাতেই অন্তত পণ্য ও যাত্রী পরিবহণে অন্তত ৫০০-৭০০ কিলোমিটার শর্টকাট হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আসানসোল ডিভিশনের অতিরিক্ত ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার আশিস ভরদ্বাজ বলেন, ‘এই বিষয়ে ডিটেলড প্রজেক্ট রিপোর্টের অনুমোদনও মিলেছে।’
ঘটনাচক্রে এই আটটি প্রকল্পের বেশিটাই বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ওডিশা-কেন্দ্রিক। ভারতীয় রেল জানাচ্ছে, এই আটটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে গুনুপুর-থিরুবলী নতুন লাইন (৭৩.৬ কিমি), জুনাগড়-নবরংপুর (১১৬.২ কিমি), বাদামপাহাড়-কান্দুঝাড়গড় (৮২.৬ কিমি), বাংরিপোসি-গরুমহিষানি (৮৫.৬ কিমি), মালকানগিরি-পান্ডুরঙ্গপুরম ভায়া ভদ্রাচলম (১৭৩.৬ কিমি), বুড়ামারা-চাকুলিয়া (৫৯.৯ কিমি), জলনা-জলগাঁও (১৭৪ কিমি) এবং বিক্রমশিলা-কাটারিয়া (২৬.২ কিমি)।
ঘটনাচক্রে এই আটটি প্রকল্পের বেশিটাই বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ওডিশা-কেন্দ্রিক। ভারতীয় রেল জানাচ্ছে, এই আটটি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে গুনুপুর-থিরুবলী নতুন লাইন (৭৩.৬ কিমি), জুনাগড়-নবরংপুর (১১৬.২ কিমি), বাদামপাহাড়-কান্দুঝাড়গড় (৮২.৬ কিমি), বাংরিপোসি-গরুমহিষানি (৮৫.৬ কিমি), মালকানগিরি-পান্ডুরঙ্গপুরম ভায়া ভদ্রাচলম (১৭৩.৬ কিমি), বুড়ামারা-চাকুলিয়া (৫৯.৯ কিমি), জলনা-জলগাঁও (১৭৪ কিমি) এবং বিক্রমশিলা-কাটারিয়া (২৬.২ কিমি)।
ভারতীয় রেল জানাচ্ছে, এই আট প্রকল্প রেল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাকে অন্তত ৯০০ কিলোমিটার সম্প্রসারিত করতে চলেছে। এডিআরএম জানান, নতুন এই রেললাইন চালু হওয়ায় আসানসোল রেল স্টেশনের গুরুত্ব অনেক বাড়বে। পাণ্ডবেশ্বর থেকে শুরু করে অন্ডাল, রানিগঞ্জের কয়লা এই নতুন পথ ধরে দক্ষিণ ভারতে যেতে পারবে।
একই ভাবে খাদ্য সামগ্রী নিয়েও এই রেলপথে যাতায়াত করতে পারবে পণ্যবাহী ট্রেন। সঙ্গে চলবে যাত্রীট্রেন। রেল মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্প নির্মাণে প্রায় তিন কোটি শ্রম দিবস তৈরি হবে। ইসিএলের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, বর্তমানে খনি এলাকা থেকে অনেক ঘুরপথে দক্ষিণ ভারতে কয়লা পাঠানো হয়। তাতে সময় অনেকটাই বেশি লাগে। নতুন করিডর তৈরি হলে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় কয়লা পাঠাতে সুবিধা হবে ইস্টার্ন কোলফিল্ডের।