জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১৪০ কোটি ভারতীয়র প্রত্য়াশা ছিল যে, পিভি সিন্ধু (PV Sindhu), সাত্ত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি (Satwiksairaj Rankireddy) ও চিরাগ শেট্টিরা (Chirag Shetty) যখন পারলেন না অলিম্পিক্সে ছাপ রাখতে, তখন বছর বাইশের উত্তরাখণ্ডের শাটলারই কিছু করে দেখান। তবে সেমিফাইনালে উঠেও ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের কাছে লক্ষ্যকে হারতে হয়েছি। সোনা-রুপোর আশা ছেড়ে, দেশবাসী চেয়েছিলেন লক্ষ্য, মালয়েশিয়ার লি জি জিয়াকে হারিয়ে (Lakshya Sen vs Lii Zii Jia) ব্রোঞ্জ নিয়েই ফিরুন দেশে। পাশাপাশি প্রথম ভারতীয় পুরুষ হিসাবে অলিম্পিক্স ব্যাডমিন্টনে পদক জিতে ইতিহাস লিখুন। কিন্তু পারেননি লক্ষ্য। খালি হাতেই তাঁকে ফিরতে হয়েছিল দেশে। লি জি জিয়ার ঝড়ে নিখোঁজ হয়ে যান ভারতীয় ব্য়াডমিন্টন তারকা। এবার লক্ষ্য-ভেদে ব্যর্থ সেনকে ধুয়ে দিলেন ক্রিকেট কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar)।
আরও পড়ুন: দ্রুততম ওডিআই ২০০-র মালিক, বোর্ডের চরম ‘অবাধ্যতায়’ ব্রাত্য, এই শর্তেই পারেন ফিরতে!
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ও ব্য়াটিং মায়েস্ত্রো সানি। তিনি এক সর্বভারতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলাম লেখেন, সম্প্রতি তাঁর কলমের খোঁচায় ক্ষতবিক্ষত করেছেন লক্ষ্যকে। কিংবদন্তি ব্যাডমিন্টন তারকা প্রকাশ পাড়ুকোন এবার লক্ষ্য-সিন্ধুদের সঙ্গে মেন্টর হিসেবে ছিলেন প্য়ারিসে। ভারতীয়দের এহেন পারফরম্য়ান্স দেখে তিনি বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে ভারতীয় ব্য়াডমিন্টন তারকারা যথেষ্ট সমর্থন পায়। তাঁদের এবার কিছু করে দেখানোর সময় এসেছে। প্রকাশের সুরে গলা মিলিয়ে সানি লেখেন, ‘
যতদূর মনে পড়ছে সালটা ২০১৭-১৮ হবে। প্রকাশের সঙ্গে আমার শেষবার দেখা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের খুব কমই দেখা হয়। ও আমাকে একটা বাচ্চার কথা বলেছিল। ছেলেটা ছিল লক্ষ্য সেন। প্রকাশ ওকে গাইড করে, পরামর্শদাতা হয়ে ওঠে। তিনি লক্ষ্যের অগ্রগতি ধাপে ধাপে দেখছে। লক্ষ্য় যখন অলিম্পিক্স পদকের দুয়ারে দাঁড়িয়েছিল, তখন কোর্টের পাশে ছিল প্রকাশ ও অদম্য বিমল কুমার। তারা শুধু লক্ষ্য়েরই স্বপ্ন নয়, সমগ্র ভারতীয় ব্যাডমিন্টন প্রেমীদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত হতে দেখতে চেয়েছিল। সেমিফাইনালে (ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের বিরুদ্ধে) ২০-১৭ এবং ৭-০-র লিড নষ্ট হওয়া এবং তারপরে ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচে (লি জি জিয়ার বিরুদ্ধে) পরাজিত হওয়ার পরে স্বাচ্ছন্দ্যে প্রথম গেমটি জিতে নেওয়া অবশ্যই সত্যিই অস্বস্তিকর ছিল। তিনি, বিমল কুমার, বিএআই এবং সরকারের TOPS সম্ভাব্য সবকিছুই করেছিল, কিন্তু সংকটের সময়ে লক্ষ্য়কে দেখে, আমার ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মার বিখ্যাত কথাটাই মনে পড়ে গেল-গার্ডেন মে ঘুমনেওয়ালা’ বোঝাই যাচ্ছে যে, সানিও রীতিমতো হতাশ হয়েছেন লক্ষ্যর খেলায়।
আরও পড়ুন: ২৭ বছরের লজ্জা থেকেই শিক্ষা! আরও কড়া হেডমাস্টার জিজি, ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরছেন RO-KO!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)