অভিযোগ, আরজি করের মতো একই পরিস্থিতি রয়েছে শহরের বাকি সরকারি হাসপাতাল, হস্টেল, হোমগুলিতেও। অনেক জায়গাতেই সিসিটিভি নেই, থাকলে সেগুলি বিকল হয়ে রয়েছে। এবার সরকারি হাসপাতাল, হস্টেল-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হোমে সিসিটিভি ক্যামেরা কী অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে স্থানীয় থানাকে বলে নির্দেশ লালবাজারের। খারাপ থাকলে সেগুলি ঠিক করতে হবে এবং প্রতি ১৫ দিন অন্তর খতিয়ে দেখতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিক রয়েছে কিনা। অন্তত ৩০ দিনের ফুটেজ যাতে সংরক্ষিত থাকে, সেই ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শহরে কোনও অপরাধ ঘটলে তদন্তের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সিসিটিভি ক্যামেরা। যদিও অনেক ঘটনার পরে দেখা যায়, সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও তা বিকল হয়ে পড়েছিল দীর্ঘদিন। অথবা, যেখানে লাগানোর প্রয়োজন ছিল, সেখানে ক্যামেরা নেই। আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে চাইছে লালাবাজার। বিশেষত, বৃহস্পতিবার রাতে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পরে সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে আর ফাঁকফোকড় রাখতে চাইছে না কলকাতা পুলিশ। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা মজবুত করতে আগামী দিনে সিসিটিভির সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।