Women Safety,সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তুলে রেখাকে তোপ তৃণমূলের – minister shashi panja criticises former ncw chief rekha sharma over women safety


এই সময়: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশকে ডেডলাইন বেঁধে তদন্ত শেষ করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী রবিবারের মধ্যে কলকাতা পুলিশ তদন্ত সম্পূর্ণ করতে না পারলে সিবিআই-র হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।রাজ্য সরকার অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে কঠোর সাজা দিতে তৎপর হলেও এই ঘটনা নিয়ে বিরোধী শিবির রাজনীতি শুরু করেছে— এই অভিযোগে বাম-বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। এই ঘটনা নিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রেখা শর্মার বিবৃতি এবং মহিলা কমিশনের একটি টিমের তড়িঘড়ি রাজ্যে হাজির হওয়ার মধ্যেও রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

ইতিমধ্যে আরজি করের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই ইস্যুতে সোমবার মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা হৃদয় বিদারক। কর্মক্ষেত্রে নারী সুরক্ষা একটি বড় ইস্যু। এর মোকাবিলায় নির্দিষ্ট পদক্ষেপ প্রয়োজন। রাজ্য সরকারের কাছে এই বিষয়ে দ্রুত এবং কঠোর পদক্ষেপের আবেদন করছি।’

জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য ডেলিনা খন্ডুপের নেতৃত্বে একটি টিম সোমবার বিকেলে রাজ্যে এসে নির্যাতিতার পরিজনের সঙ্গে দেখা করে। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলছে জাতীয় মহিলা কমিশনের টিম। জাতীয় মহিলা কমিশন রাজ্যে হাজির হওয়ার ঠিক আগেই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রেখা শর্মা দিল্লিতে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার নারীদের সুরক্ষা দিতে পারছে না। তাই এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু হওয়া প্রয়োজন। কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ করা উচিত বলে এখনও মনে করি। প্রথম দিনই মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল সিবিআই তদন্তের কথা বলা।’

সাম্প্রতিক অতীতে বিভিন্ন ইস্যুতে রেখার সঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের টানাপড়েন হয়েছে। তারমধ্যে সন্দেশখালিতে ধর্ষণের ঘটনাও রয়েছে, যাকে কেন্দ্র করে লোকসভা ভোট পর্বে উত্তাল হয়েছে জাতীয় রাজনীতিও। সেই প্রসঙ্গ টেনে এ দিন রেখাকে বিঁধেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।

আরজি করের ঘটনায় সরব প্রিয়াঙ্কা, মমতা সরকারের উপর আস্থা কংগ্রেস নেত্রীর

তাঁর কথায়, ‘সন্দেশখালির ঘটনায় আপনার কী ভূমিকা ছিল, বাংলার মানুষ ভুলে যায়নি। দু’হাজার টাকার বিনিময়ে সন্দেশখালির মহিলার ইজ্জত বিক্রি করা হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্রে আপনিও সামিল ছিলেন। বিজেপি-র বসদের খুশি করতে এই সব করেছিলেন। আপনার মেয়াদকালে মণিপুরের ঘটনা ঘটেছিল, কিন্তু আপনি সেখানে যাননি।’

পাল্টা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে তৃণমূল সরকারের সমালোচনা শুরু করেছেন মোদী সরকারের মন্ত্রীরা। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের বক্তব্য, ‘পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো নয়। কিছু দিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি ঘটনা ঘটেছিল। আরজি কর-এর ঘটনার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে।’

বিজেপি-বামেদের সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ বলেন, ‘সিপিএমের আমলে ধানতলা-বানতলা-সিঙ্গুর হয়েছিল, এখন আরজি করের সামনে বাম ছাত্র-যুবরা নাটক করছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে হাথরস, উন্নাও হয়েছে, মণিপুর হয়েছে। আর এখানে বিজেপিও নাটক করছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *