Adhir Chowdhury,হাইকম্যান্ডের মন বুঝেই ফের সক্রিয় হচ্ছেন অধীর? – adhir chowdhury is returning to old rhythm in politics after congress high command meeting in delhi


এই সময়: লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে গত সপ্তাহেই দিল্লিতে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন অধীর চৌধুরী। সেই মিটিংয়ের পর মঙ্গলবার দিল্লিতে এআইসিসি দপ্তরে সমস্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে নিয়ে বৈঠকেও বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপালের উপস্থিতিতে এই বৈঠকে অধীর হাজির ছিলেন।সূত্রের খবর, এই বৈঠকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার জন্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে অনুরোধ করেছেন তিনি। দিল্লিতে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সঙ্গে পরপর এই বৈঠকের পরেই বাংলার রাজনীতিতে পুরোনো ছন্দে ফিরছেন অধীর।

লোকসভা নির্বাচনের পর আজ, বুধবার আরজি কর-এর ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় কংগ্রেসের বড় প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন অধীর। তার আগে মেটিয়াবুরুজে একটি যোগদান কর্মসূচিতেও উপস্থিত থাকবেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় এ দিন জানিয়েছেন, ‘মেটিয়াবুরুজের এই সভায় তৃণমূল-সহ অন্য দলের নেতা-কর্মীরা কংগ্রেসে যোগদান করবেন। এই সভায় প্রদেশ কংগ্রেসের জেলা ও ব্লক স্তরের নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন।’

লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরে হেরে যাওয়ার পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়ে খাড়গেকে চিঠি দিয়েছিলেন অধীর। এই পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেসের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব কী চাইছেন, তা জানতে অধীর ছাড়াও প্রদীপ ভট্টাচার্য, দীপা দাশমুন্সি, ইশা খান চৌধুরী, নেপাল মাহাতোর মতো নেতাদের সঙ্গে দিল্লিতে কথা বলেন বেণুগোপাল।

সেখানে পশ্চিমবঙ্গে এআইসিসি-র ইনচার্জ গুলাম মির এবং সহ-ইনচার্জ বিপি সিংও ছিলেন। এই বৈঠকের পর গুলাম প্রকাশ্যে অধীরকে ‘প্রাক্তন’ প্রদেশ সভাপতি বলে সম্বোধন করায় প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। এই প্রেক্ষাপটে গত সপ্তাহে রাহুলের সঙ্গে বৈঠকে এবং সোমবার এআইসিসি দপ্তরে হাইকম্যান্ডের মিটিংয়ে অধীর ডাক পাওয়ায় নয়া অঙ্ক দেখছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ।

এআইসিসি-র সদস্য বাংলার এক কংগ্রেস নেতার পর্যবেক্ষণ, ‘গত পাঁচ বছরে অধীরকে লোকসভার দলনেতা, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি নিজের সংসদীয় এলাকাও দেখতে হতো। এক সঙ্গে এতগুলো দায়িত্ব সামলানো সহজ নয়। এখন অধীরের দায়িত্ব কমেছে। ফলে ফের তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি বাড়তি সময় দিতে পারবেন।’

দলকে কংগ্রেসের হাত ধরতে বলেছিলেন স্রোতের বিরুদ্ধে গিয়ে

এ দিন দিল্লিতে এআইসিসি দপ্তর থেকে বেরিয়ে অধীর পুরোনো ছন্দেই বাংলার তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘সরকার দোষীদের মদত করছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেহাল হয়েছে। মানুষ রোষে ফুঁসছে।’ লোকসভা নির্বাচনের পর অধীর যেমন নিজে আজ কলকাতায় বড় মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন, তেমনই আজ মধ্যরাতে মেয়েদের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ কর্মসূচিতেও কংগ্রেসের মহিলা নেতা-কর্মীদের সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের বহু জায়গায় মধ্যরাতের এই কর্মসূচির উদ্যোক্তা বিভিন্ন বাম সংগঠন। অধীর নতুন উদ্যমে পথে নামায় বাংলায় ফের বাম-কংগ্রেসের সমন্বয় তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *