হস্টেল চত্বরে নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ওই হস্টেলের আবাসিক এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, ‘হস্টেল যেখানে একটা সেফ জায়গা হওয়া উচিত সেখানে রাতের বেলায় যে কেউ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়বে সেটা আমরা আশা করি না। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে।’
বাঁকুড়া মেডিক্যালের সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রাত পৌনে ৩টে নাগাদ আমার কাছে ফোন আসে। জানতে পারি, লেডিজ় হস্টেলের পিছনের পাঁচিল টপকে কেউ একজন ভিতরে ঢুকেছিল। আবাসিকদের চিৎকারে সে পালিয়ে যায়। পুলিশ গিয়ে আর তাকে খুঁজে পায়নি।’
একইসঙ্গে সুপার বলেন, ‘ওই হস্টেলের সামনের দিকে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও পিছনের দিকে নেই। আমরা এ বার হস্টেলের পিছনেও সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে দিচ্ছি। পাশাপাশি, পাঁচিলের উপর কাঁটাতারের বেড়াও দিয়ে দেওয়া হবে।’
এ দিকে, আরজি করের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে বাঁকুড়া মেডিক্যালে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে পড়ল। হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের ইমারজেন্সি-সহ আউটডোর ও ইনডোরে সিনিয়র ডাক্তাররা চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন।