উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনার তদন্ত ভার তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। পুলিশের তদন্তে অসন্তুষ্ট হয়ে সিবিআইকে এই ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার সকাল থেকেই এই ঘটনার তদন্তে ঝাঁপিয়ে পড়ে সিবিআই। প্রথমেই কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। এই ঘটনায় ধৃত সঞ্জয়কে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ধৃত সঞ্জয়কে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এই ঘটনায় সঞ্জয় ছাড়াও একাধিক ব্যক্তি বা প্রভাবশালী কোনও ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে বলে দাবি জানানো হয়েছিল হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে। নৃশংশ খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা, সে ব্যাপারেই ঘেঁটে দেখছে সিবিআই। বুধবারই আরজি কর হাসপাতালে গিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা। নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রসঙ্গত, ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় বশিষ্টকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। চিকিৎসক বুলবুল মুখোপাধ্যয়কে আরজি কর হাসপাতালের নতুন সুপার করা হয়।