RG Kar Hospital : আরজি করে বহিরাগতদের তাণ্ডবে তছনছ জরুরি বিভাগ, নষ্ট কোটি টাকার সম্পত্তি – rg kar hospital huge property worth crore rupees vandalised on wednesday midnight


স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতেই প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল গোটা শহর জুড়ে। এর মাঝেই আরজি কর হাসপাতালে চলে বহিরাগতদের তাণ্ডব। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভাঙচুর চালানো হয়। বুধবার মধ্যরাতের ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট আরজি কর হাসপাতালে।বুধবার মধ্যরাতে কলকাতা শহরে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি চলাকালীনই তাণ্ডব চালানো হল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। বাইরে থেকে একদল লোকজন হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আক্রমণে তছনছ হয়ে গিয়েছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমও।

জরুরি বিভাগের দুটো কোলাপসিবল গেট উপড়ে নেওয়া হয়েছে। জরুরি বিভাগের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে, অবজার্ভেশন ওয়ার্ড, ফার্মেসি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার যন্ত্রপাতি, ওষুধপত্র। আরজি করের পুলিশ ফাঁড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।

Mamata Banerjee: ‘সারা রাত ঘুমোইনি সেদিন, ধনঞ্জয়ের কথা মনে আছে তো?’ আরজি কর নিয়ে সরব মমতা

ঘটনাস্থলে সীমিত সংখ্যক পুলিশ কর্মী থাকার কারণে প্রথমদিকে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা যায়নি। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। র‌্যাফ নামানো হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে আক্রমণকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। পুলিশের একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও খবর। ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। রাতে আরজি কর পৌঁছে কমিশনার বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন একেবারেই নিয়ন্ত্রণে।’ দোষীদের চিহ্নিত করে খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাত দখলের আন্দোলনে উঠে এলো একাধিক দাবি, সমস্যা নিরাপত্তা-পরিবহণ-শৌচাগারেরও
রাত প্রায় বারোটা নাগাদ হামলা চালানো হয়। হাতে রড এবং লাঠি নিয়ে কয়েকজন বহিরাগত হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেয়। আক্রমণ করা হয় হাসপাতালের বাইরের অংশেও। হাসপাতাল চত্বরে থাকা একের পর এক বাইক, পুলিশের একাধিক গাড়ি ও বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশের বসানো সমস্ত গার্ড রেল ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আক্রমণ চালানো হয় আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চেও। একতলার জরুরি বিভাগে আর কিছু অবশিষ্ট নেই বলেই জানা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *