জরুরি বিভাগের দুটো কোলাপসিবল গেট উপড়ে নেওয়া হয়েছে। জরুরি বিভাগের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে, অবজার্ভেশন ওয়ার্ড, ফার্মেসি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে কোটি টাকার যন্ত্রপাতি, ওষুধপত্র। আরজি করের পুলিশ ফাঁড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
ঘটনাস্থলে সীমিত সংখ্যক পুলিশ কর্মী থাকার কারণে প্রথমদিকে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা যায়নি। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। র্যাফ নামানো হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে আক্রমণকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। পুলিশের একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও খবর। ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল। রাতে আরজি কর পৌঁছে কমিশনার বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন একেবারেই নিয়ন্ত্রণে।’ দোষীদের চিহ্নিত করে খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাত প্রায় বারোটা নাগাদ হামলা চালানো হয়। হাতে রড এবং লাঠি নিয়ে কয়েকজন বহিরাগত হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেয়। আক্রমণ করা হয় হাসপাতালের বাইরের অংশেও। হাসপাতাল চত্বরে থাকা একের পর এক বাইক, পুলিশের একাধিক গাড়ি ও বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশের বসানো সমস্ত গার্ড রেল ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আক্রমণ চালানো হয় আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চেও। একতলার জরুরি বিভাগে আর কিছু অবশিষ্ট নেই বলেই জানা গিয়েছে।