জেলার মধ্যে রোগীর চাপ সবচেয়ে বেশি বারাসত হাসপাতালে। প্রতিদিন এখানে প্রায় সাড়ে চার হাজার রোগী আউটডোরে আসেন। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের সংগঠন এ দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রোগী দেখা বন্ধ রাখবেন বলে আগে ঘোষণা করেছিলেন। অনেকেই বিষয়টি জানতেন না। টিকিট কেটে লাইন দিয়েও অনেকে ডাক্তার দেখাতে পারেননি।
আউটডোরে হাতে গোনা কয়েকজন চিকিৎসক ছিলেন। কিন্তু তাতে সামাল দেওয়া যায়নি। সকালের দিকে টিকিট কাউন্টার খোলা থাকলে পরে তাও বন্ধ হয়ে যায়। খোলা হয়নি শিশু বিভাগও। সরমা রায় নামে একজন বলেন, ‘এসেছিলাম ডাক্তার দেখাতে কিন্তু আউটডোর বন্ধ থাকায় ফিরে যেতে হলো। টিকিট কাটার পরেও ডাক্তার দেখাতে পারেনি। অন্য দিন আসব।’
বামুনগাছি থেকে আসা মহম্মদ জাহাঙ্গির বলেন, ‘ডাক্তারবাবুদের সংখ্যা কম। প্রতিটি বিভাগে লম্বা লাইন। এ দিন আর ডাক্তার দেখানো হলো না।’ তবে বারাসত হাসপাতালে ইনডোর চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছেন হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল। ইনডোরে মেডিসিন বিভাগে চার জন চিকিৎসাধীন রোগী সঙ্কটজনক ছিলেন।
সুব্রত মণ্ডল জরুরি ভিত্তিতে একজন মহিলা এবং তিন জন পুরুষ রোগীকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও চিকিত্সককে চাপ দিইনি। নিজের ইচ্ছাতে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা আউটডোরে বসে রোগী দেখেছেন। তবে সেই সংখ্যাটা এ দিন কম ছিল। রোগীর সংখ্যাও কম ছিল। খুব একটা সমস্যা হয়নি।’
হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে অবশ্য কর্মবিরতির কোনও প্রভাব পড়েনি। আউটডোর পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। হাবরা হাসপাতালের সুপার বিবেকানন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘এ দিন আউটডোর পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। কোনও অসুবিধা হয়নি।’ বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে এ দিন আউটডোর পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল।
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে বনগাঁ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কালো ব্যাচ পরে পরিষেবা দিয়েছেন। বনগাঁ হাসপাতালের চিকিৎসক তুষারকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এর জন্য আমাদের প্রতিবাদ রয়েছে। কিন্তু রোগীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল।’