সিপিএমের জেলা সম্পাদক পদ থেকে সরানো হল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষকে। রাজ্য কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন জেলা সম্পাদক পদে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন সিপিএমের জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক বিজয় পাল। সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ থাকার কারণেই কি এই সিদ্ধান্ত? জল্পনা তুঙ্গে।সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। শুক্রবারই রাজ্য কমিটির সিদ্ধান্ত এসে পৌঁছয় জেলায়। পুরো বিষয় নিয়ে সুশান্ত ঘোষের দাবি, ‘স্ত্রীর অসুস্থতার কারণ জানিয়ে আমি আপাতত দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চেয়েছিলাম। আমি আর এ ব্যাপারে কিছু বলবো না।’ সব মিলিয়ে জেলা সম্মেলনের আগেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নতুন জেলা সম্পাদক বিজয় পাল বলেন, ‘এটা রাজ্য কমিটির সিদ্ধান্ত। তিনিও চেয়েছিলেন, রাজ্য কমিটিও চেয়েছে। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এরপর রাজ্য কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সুশান্ত সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন। সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ ওঠায় দলের মধ্যে কানাঘুষো শুরু হয়। রাজ্য কমিটি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে। তবে, সিপিএমের এক সময়কার দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী নেতার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলাতেও।
সুশান্ত সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন। সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ ওঠায় দলের মধ্যে কানাঘুষো শুরু হয়। রাজ্য কমিটি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে। তবে, সিপিএমের এক সময়কার দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী নেতার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলাতেও।
প্রসঙ্গত, বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন জেল খাটতে হয়েছে সুশান্ত ঘোষকে। বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে প্রথমে রাজ্য পুলিশ ও পরে সিআইডি তদন্ত নামে। তদন্তে ২০১১ সালের ৫ জুন বেনাচাপড়ায় কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। তাতেই নাম জড়ায় সুশান্ত ঘোষের। মাস দুয়েক পর ১১ অগস্ট তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের বছর ৩ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় না ঢোকার শর্তে সুশান্তের জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। জেল থেকে বেরোনোর পর ২০২১ সালে সুশান্তের কামব্যাক হয় জেলা কমিটিতে। ভোটাভুটির মাধ্যমে জেলা সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।