চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে শম্পার। ডান চোখে খুব আবছা দেখছেন। দুটো চোখ খুলে পরিষ্কার তাকাতে পারছে না। শুক্রবার রাতে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। হিংস্র আন্দোলন মাঝেমধ্যেই প্রতিহত করতে হয় পুলিশ কর্মীদের। শম্পা বলেন, ‘সেদিন এভাবে আক্রমণ হবে বুঝতে পারিনি। তবে, পরবর্তীকালে আরও ভালো প্রোটেকশন নিয়ে যেন কাজটা করতে পারি, সেদিকে লক্ষ্য রাখব।’
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে বুধবার মধ্যরাতে অভিনব কর্মসূচি পালন হয় গোটা রাজ্যে। মহিলাদের সুরক্ষার দাবিতে মিছিল চলতে থাকে কলকাতাতেও। নদিয়ার শান্তিপুর লক্ষীনাথ পুরের বাসিন্দা কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিক সেদিন ডিউটিতে ছিলেন। কাজ ছিল রাস্তায় মিছিলে অংশগ্রহণ করা নাগরিকদের নিরাপত্তা দেওয়া। জমায়েতের মধ্য থেকেই দুষ্কৃতীরা পুলিশের দিকে ইট,পাথর ছুড়তে থাকে। এভাবে হঠাৎ সবাই মিলে আক্রমণ করতে আসবে ভাবা যায়নি, দাবি কনস্টেবলের। তবে, সেদিনের রাতটা ভুলতে পারছে না শম্পা।
শম্পার এই অবস্থা দেখে চিন্তিত তাঁর পরিবারের সদস্যরা। শম্পার বাবা বাসুদেব প্রামাণিক বলেন, ‘আমরাও আতঙ্কের মধ্যে আছি। একটা মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতির জন্য সবাই প্রতিবাদ করছিল। সেখানে আমার মেয়ে তো ডিউটি করছিল। তাঁকে কেন মারা হল? কী দোষ করেছিল?’ শম্পার পরিবারের সদস্যরা জানান, এই ঘটনার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সকলকে খুঁজে বার করে সকলকে শাস্তি দেওয়া হোক।