Kolkata Police,চুল ছেঁটেও হয়নি শেষরক্ষা, আরজি করে হামলার ঘটনায় ধৃত বেড়ে ৩০ – kolkata police arrested 30 people in rg kar hospital attack case


আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় যে সব দুষ্কৃতীরা যুক্ত, তাদের সকলকেই গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। শনিবার বিকেল পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সমাজমাধ্যমে ছবি দেওয়ায় অপরাধীদের চিহ্নিতকরণে নাগরিকদের থেকে অনেকটাই সহায়তা মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।বুধবার মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে তাণ্ডব চালায় কিছু দুষ্কৃতীরা। কোটি টাকা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয় হাসপাতালে। আক্রান্ত হন পুলিশ কর্মীরা। সেই ঘটনায় শুরু থেকেই দোষীদের ধরতে সক্রিয় পুলিশ। শনিবার বিকেল পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

সমাজমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়ে কলকাতা পুলিশ জানায়, আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০। আরও দু’জনের শনাক্তকরণ হয়েছে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আপনাদের সাহায্যের মাধ্যমে। সহযোগিতার জন্য সহনাগরিকদের ধন্যবাদ জানানো হয় পুলিশের তরফে। এমনকী, গা ঢাকা দিতে এক দুষ্কৃতী চুলের ছাঁট বদল করেছিল বলেও ছবি সহ তথ্য তুলে ধরে পুলিশ।


মেয়েদের ‘রাত দখল’-এর কর্মসূচি চলাকালীন আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সিসিটিভি ফুটেজ, দুষ্কৃতীদের একাধিক ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করতে শুরু করে কলকাতা পুলিশ। দুষ্কৃতীদের চিনিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে নাগরিকদের কাছ থেকে সাহায্যের আবেদন জানানো হয়। হামলার ঘটনার পর পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ছিল হামলাকারীরা। প্রতিটি দলে ছিল ৫ থেকে ১০ জন করে। অন্যান্য আন্দোলনকারীদের ভিড়ে মিশে গিয়েছিলেন সকলে। কলকাতার বিভিন্ন অংশ থেকেই এই আততায়ীরা এসেছিল বলে জানায় পুলিশ।

আরজি কর কাণ্ডের জের, নারী সুরক্ষায় ১০ দফা পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার
হামলার ঘটনা নিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার আগেই জানিয়েছিলেন, স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কোনও জমায়েত হলে, সেটা নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলক কঠিন হয়। রাত দখলের কর্মসচির মাঝেই এই আক্রমণ হবে, সেটা বুঝতেই পারেনি কর্মরত পুলিশ কর্মীরা। অতর্কিতে আক্রমণের বিষয়টি বুঝতে পুলিশ যে ব্যর্থ হয়েছে, সে কথা স্বীকারও করে নেন পুলিশ কমিশনার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *