R G Kar Incident: নির্যাতিতার বদলে অন্য কারও ভিসেরা পাঠানো হয়েছে, পুসিসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজিকর হাসপাতালে মৃত তরুণী চিকিত্সকের বাবা দাবি করেছেন তাঁর মেয়ের মৃত্যুর পেছনে অনেক বড় চক্র কাজ করছে। তাঁর দাবি তাঁর মেয়েকে অন্য জায়গায় খুন করে সেমিনার হলে এনে রাখা হয়। ওই চিকিত্সকের মৃত্যু নিয়ে ও ময়না তদন্ত নিয়ে এবার বিস্ফোরক দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন-টনক নড়ল রাজ্যের, কর্মরত মেয়েদের জন্য এবার মমতার ‘রাত্তিরের সাথী’!

এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী কয়েকটি বিস্ফোরক দাবি করেছেন। সিবিআই ওই মৃত্যুর তদন্ত নেমেছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর ওই দাবি নতুন বিতর্কের জন্ম দিল। কী দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী?

শনিবার এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে শুভেন্দু দাবি করেছেন-

তদন্তের নামে মৃত চিকিত্সকের ভিসেরা বদলে ফেলেছে কলকাতা পুলিস।

ওই ঘৃন্য ঘটনার সঙ্গে বেশ কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে। পাশাপাশি ঘটনা ঘটার স্থান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

রক্তে ভেজা জিনিসপত্র বদলে ফেলা হয়েছে। কলকাতা পুলিসের সিজার লিস্টে যেসব জিনিসপত্র দেখানো হয়েছে তা আসল নয়। ডিএনএ টেস্ট করলেই তা বেরিয়ে আসবে।

ওয়াশ বেসিন বদলে ফেলা হয়েছে। সেই জায়গায় নতুন বেসিন বসানো হয়েছে।

অন্য কোথাও ওই ডাক্তারকে খুন করে মৃতদেহ আরজিকর হাসপাতালের সেমিনার হলে এনে রাখা হয়।

ওই পোস্টে শুভেন্দু লিখেছেন আশা করব সিবিআই ওইসব বিষয়গুলি বিচার করে দেখবে। কারণ  খোদ পুলিস কমিশনার নির্দেশে তদন্ত চেপে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মৃত চিকিত্সকের পরিবার গোটা ঘটনার সঙ্গে বড় চক্র জড়িয়ে থাকার কথা উল্লেখ করেছে। পাশাপাশি তারা সিবিআই তদন্তে খুশি।

এদিকে, আরজি করের ঘটনার পর কাজের জায়গায় মেয়েদের নিরাপত্তায় একগুচ্ছ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। মহিলাদের নিরাপত্তায় আজ মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ঠিক হয়েছে রাতের সিফটে যারা কাজ করবেন তাদের জন্য নেওয়া হবে ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প।

কী আছে ওই প্রকল্পে? হাসপাতালে যে মহিলারা নাইট সিফট করেন তাদের নিরাপত্তার জন্য একাধিক ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের জন্য আলাদা রেস্ট রুম, টয়লেট। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা প্রয়োজনীয় জায়গায় চলে যাবে। প্রাইভেটে সিকিউরিটি গার্ড থাকবে, সিসিটিভিকে মুড়ে ফেলা হবে। তৈরি করা হচ্ছে একটি মোবাইল অ্যাপ ‘রাত্তিরের সাথী’। এতে থাকছে অ্যালার্ম ব্যবস্থা। চালু করা হচ্ছে ১০০/১১২ নম্বরের হেল্পলাইন। ওই অ্যাপের যোগাযোগ থাকবে স্থানীয় থানার সঙ্গে।  

প্রতিটি হাসপাতালে থাকবে ব্রিদ অ্যানালাইজার টেস্ট ব্যবস্থা। বিশাখা কমিটি থাকতেই হবে। জোড়ায় জোড়ায় কাজ করার উপরে গুরুত্ব দেওয়া হবে। মহিলাদের রাতের ডিউটি যাতে কম দেওয়া যায় তা দেখার চেষ্টা হবে। আইডি কার্ড পরে থাকতে হবে। প্রাইভেট হাসপাতালেও এই প্রটোকল মেনে চলতে হবে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *