এদিন আউটডোরে এসেছিলেন মোট ৩ হাজার ৫৮৯ জন রোগী। এর মধ্যে নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৫৪ জন। হাসপাতালে এদিন বড় অপারেশন হয়েছে ৪৪টি। ছোটখাটো অপারেশনের সংখ্যা ৩৮। আউটডোরে দেখানোর পরে জরুরি ভিত্তিতে ভর্তি করে অপারেশন হয়েছে ৫ জনের।
এদিন সকাল থেকে আউটডোরের বিভিন্ন বিভাগে ঘুরে দেখেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমি মুখোপাধ্যায়। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন তিনিও। অধ্যক্ষ বলেন, ‘যে মেয়েটিকে হারিয়েছি তার বিচারের দাবি আমিও করেছি। আজও একই দাবিতে অটল রয়েছি। তবে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রেখে নয়। বহু মানুষ সরকারি হাসপাতালের উপরেই নির্ভরশীল।’
হাসপাতালের পরিষেবা বিঘ্নিত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজও আমরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম পরিষেবা চালু রাখার। আমাদের সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। সবার সহযোগিতায় হাসপাতালে পরিষেবা ঠিকই ছিল।’
এদিন চিকিৎসা করাতে ধানবাদ থেকে এসেছিলেন জগন কুমার সিং। তাঁর পেটে সমস্যা। বলেন, ‘আসানসোলে দেখিয়েছিলাম এর আগে। দু’দিন ধরে খুবই ব্যথা। আসানসোল হাসপাতালে চিকিৎসা হবে না শুনে বর্ধমানে এসেছিলাম। এখানে সমস্ত কিছুই হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে আমার ইউএসজি করা হয়েছে। একটা অপারেশন করতে হবে। সেটা ৩০ তারিখ হবে।’
হিজলনার বাসিন্দা আসমাতারা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের দু’দিন ধরে জ্বর। গ্রামে দেখিয়েছিলাম কিন্তু, জ্বর কমেনি। আজ হাসপাতালে এসে ডাক্তার দেখালাম।’ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম। ওঁরা আমাদের অনুরোধ মেনে পরিষেবা দিয়েছেন। পুরো হাসপাতাল স্বাভাবিক ছিল। কোনও বিভাগে পরিষেবা বন্ধ হয়নি। এর জন্য আমরা সমস্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
একই ঘটনার সাক্ষী থাকল কালনা মহকুমা হাসপাতালও। তবে এখানে আউটডোর পরিষেবা চালু থাকলেও চিকিৎসকরা নিজেদের বিভাগে বসেননি। তারা ইমার্জেন্সিতে এক ছাদের তলায় পরিষেবা দেন। হাসপাতালের চিকিৎসক সুশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তাই আমরা রোগী দেখেছি।’ আইএমএ-র কালনা শাখার প্রেসিডেন্ট শেখ আব্দুস সামাদের বক্তব্য, ‘আমরা নিজেদের চেম্বার বন্ধ রেখেছি। তবে হাসপাতালে প্যারালাল আউটডোর করে চিকিৎসকরা রোগী দেখেছেন।’