ডার্বি বাতিলের পর যুবভারতীর বাইরে বিএনএসএস ১৬৩ ধারা জারি করা হয়। গোলমালের আশঙ্কা থেকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। দুইদলের সমর্থকদের মিছিল এগিয়ে আসতেই আটকায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে যুবভারতীর সামনেই তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন দু’দলের সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকদের সঙ্গে পরবর্তীতে যোগদান করেন মহামেডান সমর্থকরাও।
উল্টোডাঙা মোড়, কৈখালির মোড়, রুবির মোড়ে অনেক বিক্ষোভকারীকে আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেও পালটা প্রতিবাদ শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রতিবাদীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করেছে পুলিশ। রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রতিবাদীদের। অনেককে আটক করে গাড়িতে তোলা হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিল র্যাফও। এর মাঝেই পুলিশের একটি গাড়িতে করে আটক ব্যক্তিদের নিয়ে যাওয়া হলেও আরেকটি পুলিশের গাড়ি থেকে আটক ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে নেয় আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের দাবি, নিরাপত্তার দাবি তুলে ডার্বি বাতিল করা হল কেন? ডার্বি বাতিল করে প্রতিবাদ আটকাতে এত পুলিশ মোতায়েন করা হল কেন? এর থেকে কম পুলিশে তো ডার্বি ম্যাচ হতে পারতো বলো দাবি দুই দলের সমর্থকদের। পুলিশ লাঠির আঘাতে একাধিক সমর্থক আহত হয়েছে বলে দুই দলের তরফেই দাবি করা হয়েছে।
নিরাপত্তার কারণে ১৮ অগস্ট-এর ডার্বি ম্যাচ বাতিল করে পুলিশ। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান দু’দলের সমর্থকরা একযোগে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ করবেন স্থির হয়েছিল। তবে, বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে অনুমান করে আগে থেকেই বিধাননগর পুলিশের তরফ থেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সহ ওই এলাকায় জারি করা হয় ১৬৩ ধারা। খেলা বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণে সেই প্রতিবাদ মাঠে না হয়ে এদিন দেখা গেল সল্টলেক স্টেডিয়াম ইএম বাইপাসের উপর। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল একযোগে প্রতিবাদ গড়ে তোলেন গোটা বাইপাস জুড়ে।