Auto Rickshaw,বেশি ভাড়ার লোভে সল্টলেক রুটে দেদার চালু অবৈধ অটো – illegal auto rickshaw are running on salt lake route


অটোটি চলার কথা করুণাময়ী-সেক্টর ফাইভ রুটে, পারমিট সে কথাই বলছে। কিন্তু সেই অটো চলছে কখনও করুণাময়ী-উল্টোডাঙা, আবার কখনও পরিবেশ ভবন-করুণাময়ী রুটে। আবার পারমিট নেই, রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে এমনও অটোর সংখ্যাও সল্টলেকে অগুন্তি। সম্প্রতি, পরিবহণ ভবনে সল্টলেক জুড়ে বৈধ-অবৈধ ভাবে কত সংখ্যক অটো চলছে, তার একটি তালিকা জমা করেছে বারাসতের আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তর। সেখানেই তারা এই তথ্য তুলে ধরেছেন।পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তার কথায়, ‘নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানো চালকদের জন্যই হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।’ যেমন খুশি তেমন চলার এই রীতি বন্ধ করতেই এই তালিকা তৈরি হয়েছে। কারণ সল্টলেক-উল্টোডাঙা রুটে গত কয়েক মাস ধরেই হামেশাই অটোচালকদের বিরুদ্ধে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়ছে।

পরিবহণ অফিসের প্রস্তাব

সল্টলেকে কর্মসূত্রে রোজ ২ লক্ষের বেশি লোক আসেন যাঁদের পরিবহণের অন্যতম মাধ্যম অটো। সেই সুযোগেই রাজাবাজার, শিয়ালদহ-শোভাবাজার-মানিকতলা রুটে যাদের চলার কথা, সেই অটোচালকরা অফিস টাইমে এখানে গাড়ি ঢুকিয়ে দেয়। এদের সঙ্গে রুটে চলা অটোর ভাড়ার সামঞ্জস্যও থাকে না।

এমন যে ঘটছে, স্বীকার করে নিচ্ছেন তৃণমূল পরিচালিত অটো ইউনিয়নের নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ‘অন্য রুটের অটো মূলত বেশি ভাড়ার লোভেই সল্টলেকে ঢুকে পড়ছে।’ সমস্যা মেটাতে বিধাননগর পুলিশের সহযোগিতায় গত তিন মাস ধরে রুট ধরে ধরে অটোর তালিকা তৈরি করেছে বারাসাত আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তর। সূত্রের দাবি, ওই তালিকা করতে গিয়ে আধিকারিকরা দেখেছেন, উপনগরীর প্রতিটি রুটেই অবৈধ অটো ছুটছে। রুটপিছু সেটা ২৫-৩৭%।

ট্রাকের বদলে সরকারি বাস, কম খরচে কৃষিপণ্য পরিবহণ

এ দিকে, নিয়ম মেনে গাড়ি চলছে কি না, তার বৈধ পারমিট রয়েছে কি না — তা দেখার পর্যাপ্ত লোক পরিবহণ দপ্তরের হাতে নেই। কে চালাবে নজরদারি? পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তার দাবি, ‘আমরা এ ব্যাপারে পুলিশের সহযোগিতা নেব। রুটের গাড়ি সেই রুটে চলছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব ওঁদেরই দেওয়া হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *