CBI,হাতে নতুন তথ্য? ফের নির্যাতিতার বাড়িতে CBI -এর প্রতিনিধি দল – cbi team visited rg kar hospital expired doctor house again for investigation


আরজি কর কাণ্ডে গত মঙ্গলবার থেকে তদন্তের দায়িত্ব ভার তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল। তদন্তের স্বার্থে সোমবার ফের নির্যাতিতার বাড়িতে গেল CBI-এর একটি প্রতিনিধি দল। দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এদিন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। নতুন কোনও তথ্য উঠে এসেছে এই তদন্তে? বাড়ছে রহস্য।আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাড়িতে গত বৃহস্পতিবারও সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল গিয়েছিল। সেই দলে ছিলেন সিবিআইয়ের যুগ্ম ডিরেক্টরও। পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞসাবাদ করেন তাঁরা। মৃত চিকিৎসকের বইপত্র, ডায়েরি সহ অন্যান্য নথি ঘেঁটে দেখেন তাঁরা। শেষ চারদিনে তদন্তের বেশ কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তবে, ঠিক কী কারণে দ্বিতীয়বার সিবিআই আধিকারিকরা নির্যাতিতার বাড়িতে গেলেন, সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রে খবর, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষও সন্দীপ ঘোষের বক্তব্যের সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের বয়ানের অনেকটা অমিল রয়েছে। তদন্তকারীরা তার অ্যাকাউন্টে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছেন। সে বিষয়ে তথ্য জোগাড় করতে যেতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা।

অন্যদিকে, এই ঘটনায় ধৃত সঞ্জয়কে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞসাবাদ চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আরজি কর হাসপাতালে একাধিক চিকিৎসক, পড়ুয়াদের সঙ্গেও তাঁরা কথাবার্তা বলেছেন। হাসপাতালের ঘটনাস্থল পরীক্ষা করা হয়েছে। হয়েছে থ্রিডি ম্যাপিংয়ের কাজও। যদিও, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় নতুন কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

Kunal Ghosh : আরজি কর কাণ্ডে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসকদের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে সিজিওতে কুণাল

এদিকে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মঙ্গলবারও সন্দীপ ঘোষকে সিজিওতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। এনিয়ে টানা চারদিন সিবিআই আধিকারিকদের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। আরজি কর চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনায় একজন নয়, একাধিক অপরাধী জড়িত আছে বলে বারবার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নির্যাতিতার মা-বাবা।

‘চোখ-মুখ দিয়ে রক্ত গড়াচ্ছিল’, মেয়েকে প্রথমবার দেখে শিউরে ওঠেন নির্যাতিতার মা
নির্যাতিতার বাবা গতকালই জানিয়েছিলেন, মেয়ের ডায়েরি থেকে বেশ কিছু তথ্য তিনি হাতে পেয়েছেন। আরজি কর হাসপাতালে মেয়ের কাজের অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর ছিল না বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তবে, সেই ডায়েরিতে কী তথ্য রয়েছে, সে ব্যাপরে প্রকাশ্যে কিছু জানাননি। সিবিআই আধিকারিকদের হাতে এদিন সেই তথ্য নির্যাতিতার বাবা তুলে দেবেন বলেও মনে করা হচ্ছে। সিবিআই সূত্রে খবর, নির্যাতিতার খুনের কারণ কী? অন্য কাউকে তাঁদের সন্দেহ হয় কিনা? এরকম একাধিক বিষয় তথ্য জোগাড় করতেই এদিন সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দল তাঁদের বাড়িতে যায় বলেই খবর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *