এর মাঝেই বেশ কিছু আরজি কর সংক্রান্ত নথি তাঁর হাতে আসে। জুনিয়র চিকিৎসকেরা সেগুলি তুলে দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষের হাতে। তবে কুণালকেই কেন সেই নথি দেন? কুণাল জানান, জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁদের পক্ষে সেগুলি এসে সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণে কুণাল ঘোষের কাছে সেই নথি পাঠান তাঁরা। এরপর কুণাল বলেন, ‘আমার মনে হয়, এগুলিতে যথেষ্ট তথ্য রয়েছে। তা সত্য না মিথ্যা, সেটা যাচাই করিনি। বিষয়টি যেহেতু এখন কলকাতা পুলিশের হাতে নেই, তাই আমি তাদের হাতে এই তথ্য তুলে দিইনি। সিবিআই তদন্ত করছে। তাই তাদের হাতে দিতে এসেছি।’
কুণাল এদিন জানান, আরজি কর হাসপাতালের প্রতি তাঁর একটি দুর্বলতা আছে। তাঁর মা-বাবা দু’জনেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ছিলেন। তাঁর নিজের জন্ম হয় আরজি কর হাসপাতালে। ফলে হাসপাতালের প্রতি তাঁর টান রয়েছে। পাশপাশি, আরজি কর হাসপাতালে যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছে, তার সুবিচার প্রয়োজন। কুণাল বলেন, ‘দোষীদের বা দোষীর ফাঁসি চাই আমি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, আমরা সবাই চাইছি।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতাল থেকে এক তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রাথমিক পর্যায়ে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে সেই মামলার তদন্ত ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কুণালের দেওয়া নথি থেকে কি এই তদন্তের নতুন কোনও সূত্র বেরিয়ে আসবে? সেটাই দেখার।