সিআইডির চার্জশিটে জিহাদ হাওলাদার এবং মহম্মদ সিয়ামের নাম উল্লেখ হয়েছে। তবে কী কারণে এমপি আনারকে খুন করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। তদন্তকারীদের বক্তব্য, তদন্ত শেষ না হলে খুনের কারণ বলা যাবে না। তা ছাড়া, এই মামলায় মূল অভিযুক্তকে এখনও জেরা করা যায়নি। সব কাজ হলে ফের অতিরিক্ত চার্জশিটের মাধ্যমে আদালতকে বিষয়গুলি জানানো হবে।
ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত জিহাদকে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, সিআইডি হেফাজতে রয়েছেন সিয়াম। গ্রেপ্তার হওয়ার পরে জিহাদ ও সিয়ামকে সঙ্গে নিয়ে সিআইডি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙ্গরের কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলা খালে তল্লাশি চালিয়েছিল। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একাধিক হাড়গোড়। সেগুলি আনারের বলেই ধারণা পুলিশের।
জেরায় সিয়াম পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তিনি আমেরিকার বাসিন্দা আখতারুজ্জামানের নির্দেশে জিহাদকে কলকাতা এনে রাজারহাটে ভাড়া ফ্ল্যাটে রেখেছিলেন। আনোয়ারুলকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র, প্লাস্টিকের চাদর, ব্যাগ- সবকিছুই কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে কেনা হয়েছিল।
মামলার অন্য দুই অভিযুক্ত ফয়জল ও মুস্তাফিজুর মাংস কাটার মেশিন কিনে এনেছিলেন। আজিমকে হত্যার পর তাঁর দেহ থেকে মাংস ও হাড় আলাদা করা হয়। এরপর মাংস কাটার মেশিনে ছোট ছোট টুকরো করা হয়। পরে সেগুলি ফেলে দেওয়া হয় বাঘজোলা খালে।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই মাংসের টুকরো আনোয়ারুল আজিমের কি না, তা জানতে ডিএনএ পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সে জন্য তাঁর মেয়ে মুমতারিন ফিরদৌস ডোরিনকে রক্তের নমুনা সংগ্রহের জন্য কলকাতায় আসার চিঠিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি এখনও এদেশে আসতে পারেননি।