কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, দুই পক্ষের সহমতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই আদালত আপাতত এই মামলায় হস্তক্ষেপ করছে না। তবে আগামীকাল মামলাটি শুনানির জন্য থাকছে। রাজ্য তাদের রিপোর্ট দেবে আদালতে। পাশাপাশি পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, সুখেন্দুশেখর রাজ্যের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে না।
সুখেন্দুর আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, ৩ টি টুইট করা হয়েছিল। আরজি কর কাণ্ডে সহমর্মিতা প্রকাশ করে ১৩ অগস্ট একটি টুইট করেছিলেন সুখেন্দুশেখর। এরপর ১৬ অগস্ট এবং তৃতীয় টুইট করা ১৮ অগস্ট। মহম্মদ আদনান নামে এক ব্যক্তি এফআইআর করেন। ১৭ অগাস্ট এফআইআর দায়ের হয়। পুলিশের আপত্তি ছিল তিন নম্বর টুইট নিয়ে। কিন্তু ১৭ তারিখ এফআইআরে ভিত্তিতে ১৮ অগস্টের টুইটে কি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে? এরপরেই পুলিশের তরফে নোটিশ পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে সুখেন্দুশেখর রায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, আরজি করের ঘটনায় সিবিআইয়ের নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা উচিত। সেই কারণে কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে হেফাজতে নিয়ে জেরার দাবি করেন তিনি। তাঁর আরও দাবি ছিল, কে এবং কেন আরজি করের ঘটনাটিকে নিয়ে প্রথমে আত্মহত্যার গল্প রটিয়েছিলেন, তা নগরপাল ভালোভাবেই জানেন৷ পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। সেমিনার হলের দেওয়াল ভাঙা হয় কেন?তিনদিন পরে ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ কেন আনা হয়েছিল? এরকম নানা প্রশ্ন তোলেন তিনি।