এই সময়, বারাসত ও হাবরা: তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই অশান্ত আরজি কর হাসপাতাল। তারপর থেকেই রেফার বন্ধ করে দিয়েছিল বারাসত হাসপাতাল। এ বার একই পথে হাঁটলেন হাবরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। ও দিকে বারাসত হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকদের ছুটি বাতিলের আবেদন জানালেন হাসপাতালের সুপার।আরজি কর-কাণ্ডের শুরু থেকেই রেফার বন্ধ করেছিলেন বারাসত হাসপতাল কর্তৃপক্ষ। তারপরেই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে বেডের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রোগীর সংখ্যাও দিনে দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সিসিইউ-এর ২৪টি বেডই ভর্তি। আউটডোরে রোগীদের লম্বা লাইন।
রোগীর পরিস্থিতি বুঝে ইমার্জেন্সিতে এনে চিকিৎসা চলছে। রেফার বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করার অনুরোধ জানিয়েছেন বারাসত হাসপাতাল সুপার সুব্রত মণ্ডল। সুপার বলেন, আগের তুলনায় কয়েক গুণ রোগীর চাপ বেড়েছে। রেফার পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে।
রোগীর পরিস্থিতি বুঝে ইমার্জেন্সিতে এনে চিকিৎসা চলছে। রেফার বন্ধ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করার অনুরোধ জানিয়েছেন বারাসত হাসপাতাল সুপার সুব্রত মণ্ডল। সুপার বলেন, আগের তুলনায় কয়েক গুণ রোগীর চাপ বেড়েছে। রেফার পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে।
অনেক রোগী আরজি কর, এনআরএস, কামারহাটির সাগরদত্ত হাসপাতাল থেকে এখানে এসে চিকিৎসা করাচ্ছেন। পরিষেবা সচল রাখতেই আমরা চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করার অনুরোধ জানিয়েছি। ও দিকে বারাসত হাসপাতালের মতো রেফার বন্ধ করেছে হাবরা হাসপাতালও। হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালেও রোগীর চাপ আগের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে।
কর্মবিরতির মধ্যেও হাসপাতালের আউটডোর ও ইন্ডোর পরিষেবা স্বাভাবিক রেখেছেন ডাক্তাররা। দিন কয়েক আগে আরজি কর থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাত্র ২১ দিনের বাচ্চাকে নিয়ে আসা হয়েছিল হাবরা হাসপতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাচ্চার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।