এক প্রবীণ মহিলা চিকিৎসক বলেন, ‘আমরা নকশাল আন্দোলনের সময় ডাক্তারি পড়েছি। গোলমাল হয়েছে। কিন্তু এই হাসপাতালের ভিতরে এক জন চিকিৎসক খুন হতে পারে এটা ভাবতেই পারি না।’ দলমত নির্বিশেষে হাইকোর্টের সমস্ত আইনজীবীদের মিছিলে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও।
অভিযোগ, মিছিলের শেষ পর্যায়ে আচমকাই মেজাজ হারান কল্যাণ। হাইকোর্টে ফেরার সময়েই ঘটনার সূত্রপাত। আরজি করের ঘটনার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন এক আইনজীবী। পিছনেই ছিলেন কল্যাণ। আচমকাই সামনে এসে বলেন, ‘আরজি করের ঘটনায় আমরাও দুঃখিত, আমরাও বিচার চাই। কিন্তু কেউ কেউ সংবাদমাধ্যমে অসত্য তথ্য দিচ্ছেন। সঠিক তথ্য থাকলে সিবিআইকে দিন। সংবাদমাধ্যমকে দিচ্ছেন কেন?’
একাধিক আইনজীবী কল্যাণের সঙ্গে তর্ক জুড়লে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। কিছুটা হলেও তাল কাটে সংহতির মিছিলের। অন্য আইনজীবীরা কল্যাণকে সরিয়ে নিয়ে যান। প্রবীণ আইনজীবীরা বলেন, এমন সঙ্ঘবদ্ধ মিছিল আগে দেখা যায়নি। রাজ্যের তিনি প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) অনিন্দ্য মিত্র, সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এবং জয়ন্ত মিত্রও ছিলেন মিছিলে।
সোমবার বিকেলে হাতিবাগান থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পীরা। ওই এলাকায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় মাঝপথেই মিছিল আটকায় পুলিশ। আরজি কর ইস্যুতে মিছিল করতে চেয়ে পুলিশের অনুমতি চেয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। কলকাতা পুলিশের কাছে মিছিলের অনুমতি চেয়েছিল আরও একটি সংগঠন। অনুমতি না-পেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়েরের অনুমতি চান বিজেপির নেতারা। আদালত সেই অনুমতি দিয়েছে।