আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধ জানাল সুপ্রিম কোর্ট। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সাত সদস্যের জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। পাশাপাশি, চিকিৎসকদের দাবি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে, চিকিৎসা পরিষেবা সচল রাখতে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানাল সুপ্রিম কোর্টে। আরজি করে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মধ্যে থেকে ডঃ সৌম্যদীপ রায় বলেন, ‘সবটাই শুনেছি। আমরা জেনারেল বডির মিটিংয়ে আলোচনা করেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, আন্দোলনরত চিকিত্সকদের অবিলম্বে কাজে ফেরার জন্য অনুরোধ করছি। সমাজের স্বার্থেই তাঁরা কাজে ফিরুন, এই অনুরোধ করছি। তাঁদের উদ্বেগের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে দেশের সুপ্রিম কোর্ট৷ মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা দেশ জুড়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। চিকিৎসকরা যাতে নিরাপদে কাজ করতে পারেন সেই দিকটি নিশ্চিত করা দরকার।’
আরজি কর হাসপাতালে গত ১৪ অগস্ট ভাঙচুরের ঘটনা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, ৯ অগস্ট থেকে পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় কী কী হচ্ছে সেখানে? স্বাধীনতা দিবসের দিন হাসপাতালে কী ভাবে ভাঙচুর করতে দেওয়া হল? বিস্ময় প্রকাশ করে আদালত। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
আরজি কর হাসপাতালে গত ১৪ অগস্ট ভাঙচুরের ঘটনা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, ৯ অগস্ট থেকে পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় কী কী হচ্ছে সেখানে? স্বাধীনতা দিবসের দিন হাসপাতালে কী ভাবে ভাঙচুর করতে দেওয়া হল? বিস্ময় প্রকাশ করে আদালত। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
পাশাপাশি, আরজি করের ঘটনা নিয়ে কখন এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, সে বিষয়ে জানতে চায় সর্বোচ্চ আদালত। রাজ্যের আইনজীবী জানান, বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম এফআইআর হয়েছিল। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ পরে অভিযোগ জানান। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এফআইআর দায়ের হয়েছিল বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে। তার আগে কী করছিল অধ্যক্ষ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ? সেই সময়ে মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা ছিলেন না। হাসপাতালের দায়িত্ব ছিল এফআইআর দায়ের করা।