বাবুর কলকাতায় একটি লোহার দোকান ছিল। কিন্তু, তাঁর আলোর প্রতি ঝোঁক বরাবর ছিল। তাই লোহার দোকান বিক্রি করে তিনি চন্দননগরে যান। সেখানে শিল্পী আলোক প্রামাণিকের থেকে তিনি কাজ শিখতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে নিজেই ব্যবসা শুরু করেন তিনি। চন্দননগরের শোভাযাত্রায় তিনি প্রথম নিজের শিল্প প্রদর্শনের সুযোগ পান। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছন বাবু পাল।
পরবর্তীতে তাঁর আলো পাড়ি দিয়েছিল মুম্বই, দুবাইয়ে। অমিতাভ বচ্চন এবং বিভিন্ন সেলেবদের বাড়ির আলোকসজ্জার জন্যও ডাক পড়ত বাবু পালের। পরবর্তীতে বহু আলোক শিল্পীর উত্থান হয়েছে তাঁর হাত ধরে। তাঁরা বাবু পালকে ‘আলোর জাদুকর’-ও বলেন। দর্শকদের চমক দেওয়ার জন্য অভিনব ভাবনা ছিল তাঁর। প্রত্যেক বছর পুজোর আগে তাঁর আলোকসজ্জায় থাকত থিমের ছোঁয়া। রাজনীতি, সংস্কৃতি, খেলার মধ্যে মিশে থাকত তাঁর আলোকসজ্জা।
একাধিক সরকারি এবং বেসরকারি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা চন্দননগরে। স্থানীয়রা শ্রদ্ধা জানান তাঁকে। চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির কেন্দ্রীয় সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, ‘বাবু পালের প্রয়াণে শিল্প জগতে শোকের ছায়া। শ্রীধর দাসের পরই আলোক শিল্পী হিসেবে বাবু পালের নাম ছিল। শিল্পীদের মৃত্যু হয় না। তিনি তাঁর শিল্পের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।’