চন্দননগরে ‘আঁধার’, প্রয়াত আলোক শিল্পী বাবু পাল – chandannagar lighting artist babu paul passes away


বচ্চন পরিবারের জন্য আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় চারিপাশ আলো দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া, তাঁর শিল্পের সুখ্যাতি ছিল সর্বত্র। আলোকসজ্জার মধ্য দিয়ে মন জয় করেছিলেন তিনি। প্রয়াত চন্দনগরের সেই খ্যাতনামা শিল্পী বাবু পাল। তাঁর হাত ধরেই প্রথম দুবাইয়ে পাড়ি দিয়েছিল চন্দননগরের আলোকসজ্জা।মঙ্গলবার রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘ এক বছর ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। তবে কাজ থামিয়ে রাখেননি এই শিল্পী। গত বছর কলকাতার দুর্গাপুজো এবং চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোতে বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। তাঁর মৃত্যুতে চন্দননগরে শোকের ছায়া।

বাবুর কলকাতায় একটি লোহার দোকান ছিল। কিন্তু, তাঁর আলোর প্রতি ঝোঁক বরাবর ছিল। তাই লোহার দোকান বিক্রি করে তিনি চন্দননগরে যান। সেখানে শিল্পী আলোক প্রামাণিকের থেকে তিনি কাজ শিখতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে নিজেই ব্যবসা শুরু করেন তিনি। চন্দননগরের শোভাযাত্রায় তিনি প্রথম নিজের শিল্প প্রদর্শনের সুযোগ পান। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছন বাবু পাল।

পরবর্তীতে তাঁর আলো পাড়ি দিয়েছিল মুম্বই, দুবাইয়ে। অমিতাভ বচ্চন এবং বিভিন্ন সেলেবদের বাড়ির আলোকসজ্জার জন্যও ডাক পড়ত বাবু পালের। পরবর্তীতে বহু আলোক শিল্পীর উত্থান হয়েছে তাঁর হাত ধরে। তাঁরা বাবু পালকে ‘আলোর জাদুকর’-ও বলেন। দর্শকদের চমক দেওয়ার জন্য অভিনব ভাবনা ছিল তাঁর। প্রত্যেক বছর পুজোর আগে তাঁর আলোকসজ্জায় থাকত থিমের ছোঁয়া। রাজনীতি, সংস্কৃতি, খেলার মধ্যে মিশে থাকত তাঁর আলোকসজ্জা।

একাধিক সরকারি এবং বেসরকারি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা চন্দননগরে। স্থানীয়রা শ্রদ্ধা জানান তাঁকে। চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির কেন্দ্রীয় সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, ‘বাবু পালের প্রয়াণে শিল্প জগতে শোকের ছায়া। শ্রীধর দাসের পরই আলোক শিল্পী হিসেবে বাবু পালের নাম ছিল। শিল্পীদের মৃত্যু হয় না। তিনি তাঁর শিল্পের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *