হাসপাতালের মহিলা শৌচাগারের পাশে মদের আসর, আটক ২ কর্মী – liquor party inside women washroom in purulia medical college hospital arrested two workers


এই সময়, পুরুলিয়া: সন্ধে নামার পরই বসে মদের আসর। সেটাও আবার মহিলা শৌচাগারের পাশে। অভিযোগ, শৌচাগারের দায়িত্বে থাকা কর্মীরাই এই মদের আসর বসান। আরজি করের ঘটনার আবহে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজের সদর হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ওঠা এই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শৌচাগারের দুই কর্মীর প্রকাশ্যে মদ্যপানের একটি ভিডিয়োও (যার সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময়’) সামনে এসেছে।মঙ্গলবার মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে পুরুলিয়া সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিনই পুলিশ শৌচাগারের দুই কর্মীকে আটক করেছে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের পিছনের দিকে রয়েছে একটি সুলভ শৌচাগার। মহিলা ও পুরুষ শৌচাগারের পাশে থাকা একটি কক্ষে মদের আসর বসে বলে জানান হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর আত্মীয়রা।

আতঙ্কে সন্ধ্যার পর থেকে তাই ওই শৌচাগারে যান না মহিলারা। পুরুষরাও অস্বস্তি বোধ করেন। হাসপাতালে রাতের ডিউটিতে থাকা মদ্যপ কর্মীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলেন রোগীর পরিজনরা। মৌমিতা বাউড়ি, মৃদুলা মাহাতোর মতো মহিলারা জানান, অনেক সময়েই রাতে হাসপাতালে থাকতে হয় তাঁদের।

প্রয়োজন হলেও তাঁরা ওই শৌচাগারে যান না। বহু চতুর্থ শ্রেণির কর্মীও মদ্যপ অবস্থায় থাকেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। একই ভাবে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীরা। তাঁদের মধ্যে সানিয়া আহমেদ, দেবঙ্গনা কোলে সরকার বলেন, ‘আরজি করের ঘটনায় সমানে প্রতিবাদ চলছে। এ বার নিজেদের মেডিক্যাল কলেজে যদি এমন ঘটনা ঘটে তা অত্যন্ত উদ্বেগের।’

আরজি করের প্রাক্তনীরাও ময়দানে, তাল কাটল আইনজীবীদের মিছিলের

শৌচালয়ের পাশে মদের আসর নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি সুকোমল বিষয়ী বলেন, ‘পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।’ তবে ওই শৌচাগারের কর্মীদের সঙ্গে হাসপাতালের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেন তিনি।

এমএসভিপি-র বক্তব্য, ‘ওই কর্মীরা বেসরকারি সংস্থার কর্মী। এই ধরনের কাজ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’ শৌচাগারের যে কর্মীর বিরুদ্ধে মদ খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের নাম নারায়ণ পরামানিক এবং সঞ্জু বলে জানা গিয়েছে। এদিন নারায়ণ মদ্যপানের কথা স্বীকার করে জানান, শৌচাগারের পাশেই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা। সেখানেই মাঝেমধ্যে মদ্যপান করেন তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *