আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষের পরিবারের নিরাপত্তায় যাতে কোনও ফাঁক ফোকর না থাকে, তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতে হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন শ্বশুর রামকৃষ্ণ দাস। বুধবার মামলাটির শুনানি হয়েছিল বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে। রাজ্য শুনানিতে জানিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট রয়েছে।এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘কী ধরনের হামলার আশঙ্কা করছেন? আপনার এলাকায় কোনও পুলিশ নেই? এখানে রাজ্যের কী বক্তব্য?’ আরজি করের ঘটনার পর সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়ির সামনে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক জমায়েত করছেন বলে জানানো হয় আদালতে। রাজ্যের তরফে অবশ্য স্পষ্ট করা হয়, বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ পিকেট রয়েছে। রয়েছে মোবাইল ভ্যানও। সন্দীপ ঘোষের পরিবারের সুরক্ষায় পদক্ষেপ করছেন বেলেঘাটা থানার ওসি, জানানো হয়েছে এমনটাই।
আদালত এ দিন স্পষ্ট নির্দেশ দেন, সন্দীপ ঘোষের পরিবারের নিরাপত্তায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে তা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে হবে। উল্লেখ্য, এই দিনই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ইডি তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় আদালত। পাশাপাশি আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি এর আগে একাধিকবার সরব হয়েছেন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সিবিআই সন্দীপকে জেরা করে অনেক কিছু জানতে পারবেন বলে মনে করছেন, এই মন্তব্যও করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে।
আদালত এ দিন স্পষ্ট নির্দেশ দেন, সন্দীপ ঘোষের পরিবারের নিরাপত্তায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে তা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে হবে। উল্লেখ্য, এই দিনই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ইডি তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে। মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় আদালত। পাশাপাশি আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি এর আগে একাধিকবার সরব হয়েছেন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সিবিআই সন্দীপকে জেরা করে অনেক কিছু জানতে পারবেন বলে মনে করছেন, এই মন্তব্যও করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে।
সেই আখতারের সুরক্ষা যাতে নিশ্চিত করা হয়, হাইকোর্টে সেই আবেদনও করা হয়। উল্লেখ্য, আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে আলোড়ন পড়েছে। ঘটনার সময় আরজি করের অধ্যক্ষ পদে ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেও তা গ্রহণ হয়নি।