আন্দোলরত চিকিৎকদের দাবি, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বদলি সংক্রান্ত যে নির্দেশ স্বাস্থ্য ভবন দিয়েছিল, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতাল থেকে সন্দীপ ঘোষকে বদলি করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছিল। তাঁকে যাতে কোনও হাসপাতালে দায়িত্ব না দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি, আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের সময় হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের এবং হামলার দিন দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের অপসারণ করার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মধ্যে থেকে একজন বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যভবনের কাছে কয়েকটা দাবি জানিয়ে আসছি। এখানে আমরা বিচার চাইতে আসিনি। আদালতের নির্দেশে তদন্ত চলছে। সিবিআই তদন্ত করছে।’ তবে, তাঁরা বেশ কিছু দাবি নিয়ে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন। এরপরেই তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছিলাম আমাদের কিছু নির্দিষ্ট দাবি নিয়ে। আমরা এক ঘণ্টা সময়ও দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, আপনারা আলোচনা করে আমাদের জানান। কিন্তু ওঁরা মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন বিষয়টা ভেবে দেখা হবে। আমরা কোনও নির্দিষ্ট আশ্বাস পায়নি।…স্বাস্থ্য ভবন প্রশাসনিক জটিলতার দোহাই দেখিয়ে বিষয়টিকে দীর্ঘায়িত করতে চাইছেন। ’
এদিন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে নিয়েও ক্ষোভের কথা জানান ডাক্তাররা। শেষ কয়েকদিন অধ্যক্ষ হাসপাতালেই আসছেন না, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁদের। তাঁদের দাবি, ‘নতুন অধ্যক্ষ দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন।’ তাঁর অপসারণের দাবিও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।