অভিযোগ, বস্তায় কী আছে জানতে চাওয়ায় ব্যাগ ফেলে পালানোর চেষ্টা করে দু’জন। তাদের ধরে একটি ইলেকট্রিক পোলে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বর্ধমান হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে থাকা পুলিশ এসে দু’জনকে ধরে নিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ফ্যানের ব্লেডগুলো। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে বর্ধমান থানার পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ধৃতদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে পুলিশের নজরদারি অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে।’ কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও কলেজ ক্যাম্পাসে দুষ্কৃতীরা ঢুকল কী করে? মেডিক্যাল কলেজের কর্মী আশিস সরকার বলেন, ‘নিরাপত্তার খাতিরে কলেজের একটি গেট ছাড়া বাকি সমস্ত গেট বন্ধ রাখা হয়। ভোরের দিকে ওই দুই যুবক বাবুরবাগের দিক থেকে পোস্টমর্টেম ঘরের পিছনের পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে। পিডব্লিউডি-র ঘরের তালা ভেঙে প্রায় ৮০টি ফ্যানের ব্লেড নিয়ে পালাচ্ছিল। আমরাই ওদের ধরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ নিয়ে যায়।’
এ দিন দেখা গেল, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পোস্টমর্টেম ঘরের কাছে ঝোপঝাড় বেড়েছে। আগাছা এতটাই বড় হয়ে ছড়িয়ে গিয়েছে যে অনায়াসে সেখানে যে কেউ লুকিয়ে থাকতে পারে। এ প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষা মৌসুমি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কলেজের বেশ কিছু এলাকায় গাছ-ঝোপঝাড় বড় হয়েছে। যার জন্য রাতে সব জায়গায় ঠিকমতো আলো পৌঁছোচ্ছে না। আমরা গাছগুলো ছাঁটার জন্য কথা বলেছি। এ ছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো, কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ ও আরও বেশ কয়েকটি নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এ দিকে, বর্ধমান থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের ব্যাপারে নির্দিষ্ট অভিযোগ আসতে দেরি হওয়ায় এ দিন দু’জনকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা যায়নি। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দায়ের করার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পেশ করা হবে।