Kalna Incident: স্বামীর সঙ্গে ভিডিয়ো কলের সময়ই বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু বধূর – kalna a homemaker lost life due to poisonous snake bite


এই সময়, কালনা: কেরালায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন স্বামী। বুধবার রাতের খাওয়া শেষে খাটে শুয়ে তাঁর সঙ্গেই ভিডিয়ো কলে কথা বলছিলেন স্ত্রী টুম্পা সাঁতরা (২৬)। পাশেই ঘুমিয়েছিল তাঁদের দুই মেয়ে। এমন সময়ে ওই বধূ বুঝতে পারেন তাঁর ডান হাতে কিছু একটা কামড়েছে। পরে বোঝা যায়, কামড়টা ছিল কোনও বিষধর সাপের। পরিবারের লোকজন টুম্পাকে তড়িঘড়ি নিয়ে যান মন্তেশ্বর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। যদিও শেষ পর্যন্ত মন্তেশ্বরের বাঘাসন গ্রামের বাসিন্দা ওই গৃহবধূকে বাঁচানো যায়নি।সামনেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল পরিযায়ী শ্রমিক স্বামীর। শ্বশুরবাড়িতে শ্বশুর, শাশুড়ি, দেওরদের সঙ্গে যৌথ পরিবারে থাকতেন টুম্পা। বড় মেয়ে রূপসা পড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে। ছোট মেয়ে বিপাসা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

দেওর প্রদীপ সাঁতরা বলেন, ‘বুধবার রাত ১১টা নাগাদ কিছু একটা কামড়েছে বুঝতে পারলে প্রথমে ভিডিয়ো কলে সেটা দাদাকে বলে বৌদি। তার পর রূপসাকে বলে আমাদের খবর দিতে। বৌদির হাতে খুব জ্বালা করছে দেখে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসক বৌদিকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে পারি, সাপে কামড়েছে।’

সম্প্রতি মন্তেশ্বরের মতো এলাকায় সাপের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানালেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চর কালনা শাখার সহ সভাপতি তাপস কার্ফা।

তাঁর বক্তব্য, ‘মন্তেশ্বরের বিস্তীর্ণ এলাকার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে খড়ি নদী। খড়ি নদীর দু’পাশে রয়েছে ঢাল। ঢালের পাশে বেনাগাছের ঝোপ থাকে। বর্ষায় ঝোপ জলের তলায় চলে যায়। সেখান থেকে সাপ বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসে। আগে শামুকখোল, চিলের মতো পাখিরা সাপ খেয়ে নিত। এখন গাছ কেটে ফেলায় ওই সব পাখির দেখা মেলে না। ফলে খাদ্য-খাদকের শৃঙ্খল ভেঙে গিয়েছে। সাপের সংখ্যা বেড়েছে। তা ছাড়া মে-জুন মাসে সাপের বাচ্চা হয়। সাপ যখন কিছু খেয়ে কাউকে কামড়ায় তখন বিষের পরিমাণ কম থাকে। ফলে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন অভুক্ত থাকা সাপ কামড়ালে বিষ বেশি ঢালে। মৃত্যুর সম্ভাবনা স্বাভাবিক ভাবে বেশি থাকে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *