দেওর প্রদীপ সাঁতরা বলেন, ‘বুধবার রাত ১১টা নাগাদ কিছু একটা কামড়েছে বুঝতে পারলে প্রথমে ভিডিয়ো কলে সেটা দাদাকে বলে বৌদি। তার পর রূপসাকে বলে আমাদের খবর দিতে। বৌদির হাতে খুব জ্বালা করছে দেখে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসক বৌদিকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে পারি, সাপে কামড়েছে।’
সম্প্রতি মন্তেশ্বরের মতো এলাকায় সাপের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানালেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চর কালনা শাখার সহ সভাপতি তাপস কার্ফা।
তাঁর বক্তব্য, ‘মন্তেশ্বরের বিস্তীর্ণ এলাকার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে খড়ি নদী। খড়ি নদীর দু’পাশে রয়েছে ঢাল। ঢালের পাশে বেনাগাছের ঝোপ থাকে। বর্ষায় ঝোপ জলের তলায় চলে যায়। সেখান থেকে সাপ বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসে। আগে শামুকখোল, চিলের মতো পাখিরা সাপ খেয়ে নিত। এখন গাছ কেটে ফেলায় ওই সব পাখির দেখা মেলে না। ফলে খাদ্য-খাদকের শৃঙ্খল ভেঙে গিয়েছে। সাপের সংখ্যা বেড়েছে। তা ছাড়া মে-জুন মাসে সাপের বাচ্চা হয়। সাপ যখন কিছু খেয়ে কাউকে কামড়ায় তখন বিষের পরিমাণ কম থাকে। ফলে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন অভুক্ত থাকা সাপ কামড়ালে বিষ বেশি ঢালে। মৃত্যুর সম্ভাবনা স্বাভাবিক ভাবে বেশি থাকে।’