বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মৌমিতা চক্রবর্তী বলেন, ‘ছাত্রীরা যখন এই ঘটনার প্রতিবাদ করার পরিকল্পনা নিয়ে আমার কাছে এসেছিল, আমি অনুমতি দিই। গোটা পৃথিবী আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে, তখন বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা কেন হত্যাকারীর যথাযথ শাস্তির দাবি চেয়ে প্রতিবাদ জানাবে না!’ স্কুলের সকল শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে পড়ুয়ারা স্কুল প্রাঙ্গণে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ দেখায়।
স্কুলের এক শিক্ষিকা সান্তনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই ঘটনা শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রে কলঙ্ক নয়, সমস্ত কর্মক্ষেত্রেই এমন ঘটনা হয়ে চলেছে। তাই সকল মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েই এই প্রতিবাদ হয়েছে। যত দ্রুত এই ঘটনার সত্যতা সামনে আসুক এবং অপরাধীদের শনাক্ত করে এমন শাস্তি দেওয়া হোক, যেন সমাজের এইসব কীট বা সামাজিক ব্যাধি দূর হয় সমাজ থেকে।
স্কুলের এক পড়ুয়া শ্রেয়সী সরকার জানায়, আরজি করের ঘটনা শুনে সকলে এর একটা প্রতিবাদ জানানোর পরিকল্পনা করেছিলাম। আমরা শিক্ষিকাদের কাছে প্রস্তাব রাখি। তাঁরা আমাদের খুবই সাহায্য করেছে। আমাদের মতো অন্যান্য স্কুলেও যেন এই প্রতিবাদ হয়। আরেক পড়ুয়ার কথায়, ‘আজকে আমরা একটা ছোট গণ্ডির মধ্যে রয়েছি। পরে আমাদের কর্মক্ষেত্রে যেতে হবে। কিন্তু, সেখানে তো আমাদের নিরাপত্তা দরকার। সেটাই যদি না থাকে, তাহলে কী করে হবে?’