এর আগে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। শীর্ষ আদালতে এদিন স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। আরজি করে হামলার ঘটনা নিয়েও স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। আরজি করের চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে CISF মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে, চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানিয়ে দেয়, কর্মবিরতি করার জন্য চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর আন্দোলনরত চিকিৎসকদের জেনারেল বডির মিটিং হয়। মিটিং শেষে কর্মবিরতি চলবে বলেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বুধবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত মিছিল করেন আরজি করের চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যভবনে চিকিৎসকদের চার দফা দাবি পেশ করা হয়।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ঘটনার দিন যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন এবং আরজি করে হামলার ঘটনার দিনে যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের অপসারণের দাবি তুলেছিলেন চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি মেনে হাসপাতালের সুপার, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সহ একাধিক আধিকারিকদের অপসারণ করা হয় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। অন্যদিকে, আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম নির্দেশের পর দিল্লি AIIMS-এর চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলে নেন। ‘দ্য রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে জানানো হয়, চিকিৎসকদের সুরক্ষার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। আরজি করের ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই পরিস্থিতিতে কাজে ফেরার সিদ্ধান্তের কথা জানায় তাঁরা।