কিন্তু, কেন খুন করা হল প্রিয়াঙ্কাকে?
পুলিশ সূত্রে খবর, দুই বছর আগে বেঙ্গালুরুর একটি শপিং মলে কাজ করতেন প্রিয়াঙ্কা। গত ১২ অগস্ট গ্রামে ফেরেন তিনি। সেই সময়ই অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। সম্পর্কের তিক্ততার কারণেই অজয় প্রিয়াঙ্কাকে খুন করে বলে অনুমান পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে আলাপ হয় অজয়ের। কিন্তু, সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কা সেই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, রাজি হয়নি অজয়। ১৪ অগস্ট ট্রেনে ডেবরা থেকে গাংপুরে আসে অভিযুক্ত। প্রিয়াঙ্কাকে ফোন করে ক্ষেতের মধ্যে দেখা করতে ডাকে এবং সেখানেই তাঁকে খুন করে বলে সন্দেহ পুলিশের।
পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘প্রথমে ৯ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল(সিট) গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু, পরে তাতে মোট ২১ জনকে যুক্ত করা হয়। অন্যান্য জেলার পুলিশও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। ঘটনার ১০ দিনের মাথায় অজয় টুডুকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পাঁশকুড়া থেকে নিয়ে আসা হয়। শনিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে। তাকে ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।’ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যার কারণ স্পষ্ট হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। আমনদীপ আরও বলেন, ‘আমি গত পাঁচ-ছয় বছরের কেরিয়ারে এই ধরনের ঘটনা দেখিনি যেখানে অভিযুক্তকে ধরতে অন্যান্য জেলার পুলিশ এভাবে সাহায্য করেছেন।’
যদিও অজয়ের গ্রেপ্তারিতে খুশি নন প্রিয়াঙ্কার পরিবারের সদস্যরা। প্রিয়াঙ্কার মা বলেন, ‘আমি চাই মেয়ের খুনির ফাঁসি হোক। মেয়ে অজয় টুডুর নাম কোনওদিন করেনি। আরও কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখা হোক।’