Ganga Erosion,গঙ্গায় ভয়াবহ ভাঙন, ঘুম উড়েছে সামশেরগঞ্জের বাসিন্দাদের – samserganj residents are worried about severe ganga erosion


সারা বছরই আতঙ্কে কাটে। বর্ষায় আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। গঙ্গার বে-লাগাম ভাঙনে ফের ঘুম উড়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের বাসিন্দাদের।শনিবার নদী ভাঙনের জেরে তলিয়ে গেল একাধিক বাড়ি। নদী গর্ভে তালিয়েছে বহু কৃষি খেত। অভিযোগ, অসহায় গৃহহীন বাসিন্দাদের পাশে এখনও নেই প্রশাসনের কেউ। বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও সেই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। কিন্তু তুমুল ক্ষোভ এলাকার বাসিন্দাদের। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাসিন্দারা। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে কান্নার রোল দুর্গত পরিবারগুলোতে।

ঘটনাস্থল প্রতাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহরপুর গ্রাম। সেখানে নদী ভাঙনে নদীর গর্ভে তালিয়েছে বাগান, বাড়িঘর, চাষের জমি। নদীর পাড়ে বিপজ্জনক ভাবে ঝুলছে আরও বেশ কিছু বাড়ি। যে কোনও সময় ওই সব বাড়িও তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা এলাকার বাসিন্দাদের। প্রাণ হাতে করে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন গৃহহীন লোকজন। কারও জায়গা মিললেছে স্থানীয় স্কুলে। কেউ গিয়েছেন দূরে আত্মীয়ের বাড়ি।

Flood In Namkhana: বৃষ্টি ও কটালের ধাক্কায় নদীবাঁধে ধসে আতঙ্ক

নদী পাড়ের বাসিন্দাদের জন্ম থেকেই দুর্ভোগ শেষ নেই। অভিযোগ, ভোট এলেই সব রাজনৈতিক দলের নেতা, প্রার্থী ভাঙ্গন রোধের আশ্বাস দেন। ভোট মিটলে যে কে সেই। অভিযোগ, প্রশাসনের কর্তাদের জানিয়েও লাভ কিছুই হয় না। সামশেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, দুর্গতদের অস্থায়ীভাবে স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের স্থায়ী বসবাসের কথা ভাবা হচ্ছে। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু দুর্গতদের অভিযোগ, শনিবার সকালে ভাঙন শুরু হলেও বিকেল পর্যন্ত প্রশাসনের কোনও আধিকারিকের দেখা মেলেনি। ত্রাণও মেলেনি। বাসিন্দাদের প্রশ্ন, ভাঙন রোধে কেন স্থায়ী পদক্ষেপ করে না প্রশাসন। কেনই বা বারবার দুর্ভোগ? সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি এলাকার লোকজনের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *