বালুহাটি গার্লস হাই স্কুলের টিচার ইনচার্জ অঞ্জন সাহা বলেন, ‘শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মীরা এই মিছিলে অংশ নেননি। স্কুল ছুটির পর পড়ুয়ারা অংশ নিয়েছিল। স্কুলে ওই দিন পঠনপাঠন হয়। কেন শোকজ় করা হল, সেই বিষয়টি জানা নেই।’ এই বিষয়ে একাধিকবার স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সফল হয়নি।
উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনায় বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধে স্কুল পড়ুয়াদের অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে। তা নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা জেলাশাসকদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করেন বলে সূত্রের খবর। জেলাশাসকদের দাবি, সেখানে বলা হয়েছে, রাস্তা অবরোধের জন্য সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ডেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তা কোনওভাবেই মানা যাবে না। অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। তবে জেলাশাসকরাই জানিয়েছেন, তা সরকারি লিখিত নির্দেশ নয়। হোয়াটসঅ্যাপে চার লাইন লিখে পাঠানো হয়েছে।
রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের দাবি, পরিকল্পনা করে রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করতে পথ অবরোধে ছাত্রছাত্রীদের শিখণ্ডি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি পুলিশ জোর করে অবরোধ তুলতে যায় সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের উপর লাঠির ঘা পড়বে। আর সেই বিষয়টিই বিরোধীরা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। সূত্রের খবর, এই মর্মে গোয়েন্দাদের কাছ থেকে সতর্কবার্তা পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন।