ঘটনাটি প্রথম নজরে আসে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার কাজে যুক্ত এক প্রৌঢ়ার। তিনি শুক্রবার সকালে টিউবওয়েল থেকে জল নিতে গেলে দুধের মতো সাদা জল বেরোয়, সঙ্গে তীব্র গন্ধ। প্রৌঢ়া ওই জল পাশের একটি নিকাশি নালায় ফেলে দিতে দেখেন, সেখানকার পোকামাকড় মারা যাচ্ছে। তিনি বোঝেন, জলে কেউ বিষ মিশিয়েছে। তিনি গ্রামের লোকেদের ঘটনাটি জানান। পরে জানা যায়, এলাকার আরও তিনটি টিউবওয়েল থেকে একই রকম জল পড়ছে। তার পরেই খবর যায় পুলিশ প্রশাসনে।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির শিক্ষিকা রানু শেঠ কর্মকার বলেন, ‘এলাকার বাসিন্দারা আমাকে ফোনে টিউবওয়েলে কীটনাশক মেশানোর কথা জানান। আমি কেন্দ্রে পৌঁছে শিশুদের টিউবওয়েলের কাছে যাওয়া থেকে আটকাই। কেন্দ্রের ওই কর্মী যদি আগেভাগে বিষয়টি খেয়াল না করতেন, তা হলে শিশুরা ওই জল খেত বা তা দিয়ে রান্নাও হতো! সে ক্ষেত্রে কী ভয়ঙ্কর বিপদ হতো, ভেবেই ভয় লাগছে।’
গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মী ফুলিয়া বলেন, ‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে আমাদের বাড়ি। কেন্দ্রের টিউবওয়েল থেকে জল সংগ্রহ করতাম। কেউ তাতে কীটনাশক মিশিয়ে দিয়েছে। আতঙ্কে বাচ্চাদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পাঠাচ্ছে না কেউ। আমরা আতঙ্কিত।’
কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুলিশকে বলেছি, যে বা যারা এ কাজ করেছে, তাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। সময়মতো নজরে না এলে, ওই কলের জল খেয়ে একাধিক প্রাণহানি হতে পারত।’ কাঁকসা থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তদন্ত চলছে।’
