Durgapur ICDS Centre: অঙ্গনওয়াড়ির টিউবওয়েলে কীটনাশক! তদন্তে পুলিশ – durgapur anganwadi centre accused of mixing pesticides in tubewell police starts investigation


এই সময়, দুর্গাপুর: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের টিউবওয়েলে কীটনাশক মেশানোর অভিযোগে আতঙ্ক ছড়াল কাঁকসা থানার গোপালপুরে। বৃহস্পতিবার রাতে গোপালপুর গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার কালিপুকুরে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশাপাশি আরও তিনটি টিউবওয়েলে কে বা কারা কীটনাশক মিশিয়ে দেয় বলে খবর। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।তাঁদের বক্তব্য, বিষয়টি সামনে আসতে দেরি হলে বড়সড় বিপদ হতে পারত। পুলিশ প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে টিউবওয়েল থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করেন। বিপদ এড়াতে টিউবওয়েলগুলি সিল করে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

ঘটনাটি প্রথম নজরে আসে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নার কাজে যুক্ত এক প্রৌঢ়ার। তিনি শুক্রবার সকালে টিউবওয়েল থেকে জল নিতে গেলে দুধের মতো সাদা জল বেরোয়, সঙ্গে তীব্র গন্ধ। প্রৌঢ়া ওই জল পাশের একটি নিকাশি নালায় ফেলে দিতে দেখেন, সেখানকার পোকামাকড় মারা যাচ্ছে। তিনি বোঝেন, জলে কেউ বিষ মিশিয়েছে। তিনি গ্রামের লোকেদের ঘটনাটি জানান। পরে জানা যায়, এলাকার আরও তিনটি টিউবওয়েল থেকে একই রকম জল পড়ছে। তার পরেই খবর যায় পুলিশ প্রশাসনে।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির শিক্ষিকা রানু শেঠ কর্মকার বলেন, ‘এলাকার বাসিন্দারা আমাকে ফোনে টিউবওয়েলে কীটনাশক মেশানোর কথা জানান। আমি কেন্দ্রে পৌঁছে শিশুদের টিউবওয়েলের কাছে যাওয়া থেকে আটকাই। কেন্দ্রের ওই কর্মী যদি আগেভাগে বিষয়টি খেয়াল না করতেন, তা হলে শিশুরা ওই জল খেত বা তা দিয়ে রান্নাও হতো! সে ক্ষেত্রে কী ভয়ঙ্কর বিপদ হতো, ভেবেই ভয় লাগছে।’

গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মী ফুলিয়া বলেন, ‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে আমাদের বাড়ি। কেন্দ্রের টিউবওয়েল থেকে জল সংগ্রহ করতাম। কেউ তাতে কীটনাশক মিশিয়ে দিয়েছে। আতঙ্কে বাচ্চাদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পাঠাচ্ছে না কেউ। আমরা আতঙ্কিত।’

কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুলিশকে বলেছি, যে বা যারা এ কাজ করেছে, তাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। সময়মতো নজরে না এলে, ওই কলের জল খেয়ে একাধিক প্রাণহানি হতে পারত।’ কাঁকসা থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তদন্ত চলছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *