Nabanna Campaign,নবান্ন অভিযানে থাকবেন? ধন্দ চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যেই – west bengal students association calls for nabanna campaign on tuesday over rg kar hospital issue


এই সময়: আরজি কর ইস্যুতে আগামিকাল, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে একটি সংগঠন। ওই দিনই ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চের তরফে আলাদা ভাবে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাতে যোগ দেওয়ার কথা এসএসসি, প্রাইমারি এবং নানা ক্ষেত্রের চাকরিপ্রার্থীদেরও। এই অভিযানের সমর্থনে একটি পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে (যার সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময়’)।সেখানে ডিএ আন্দোদলনকারীদের ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’ ছাড়াও ‘২০১৭ গ্রুপ ডি ওয়েটিং ঐক্য মঞ্চ’, ‘২০১৪ প্রাইমারি টেট পাশ একতা মঞ্চ’, ‘এসএসসি গ্রুপ সি ও ডি চাকরি প্রার্থী ঐক্য মঞ্চ’, ‘এনএসকিউএফ শিক্ষক পরিবার’-সহ একাধিক আন্দোলনকারী মঞ্চের নাম দেওয়া হয়েছে। ২৭ অগস্ট তারা একসঙ্গে বেলা একটায় হাওড়া স্টেশনে জমায়েত ডেকেছেন। আরজি কর ইস্যুতে ন্যায়বিচার চেয়েই এই সংগঠনগুলি নবান্ন অভিযানে সামিল হতে চায় বলে জানিয়েছে।

এ দিকে ‘ছাত্র সমাজ’-এর নবান্ন অভিযানকে দূর থেকে সমর্থন, নাকি ভিড়ে গিয়ে শক্তি বাড়ানো, তা নিয়ে দোটানায় পড়েছেন বঙ্গ-বিজেপি নেতৃত্ব। রবিবার রাত পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে সামিল হতে চাইছেন না বঙ্গ-বিজেপির সিংহভাগ নেতা-নেত্রী। তাঁদের যুক্তি, ওই অভিযানে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতি আখেরে তৃণমূলেরই সুবিধা করে দেবে।

সূত্রের খবর, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পলরা কেউ সশরীরে নবান্ন অভিযানে অংশ নেবেন না। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ওইদিন কী করেন, সেটাই এখন দেখার। চাকরিপ্রার্থীদের সংগঠনগুলির মধ্যে কারা এই নবান্ন অভিযানের সঙ্গে আছে, আর কারা নেই, তা নিয়ে রবিবার দিনভর বিতর্ক জারি ছিল।

২০১৪ সালে টেট পাশ করা আন্দোলনকারীদের মধ্যে পরিচিত মুখ অচিন্ত্য সামন্ত বলেন, ‘আমরা নবান্ন অভিযানে রয়েছি। আরজি করের বিচার চাই। বিচার চাই চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চনারও।’ বৃত্তিমূলক শিক্ষকদের সংগঠন এনএসকিউএফ শিক্ষক পরিবারের অন্যতম নেতা শুভদীপ ভৌমিকের বক্তব্য, ‘আরজি করের বিচারের পাশাপাশি আমরা চাইছি, আমাদের যে মেয়েরা দিনের পর দিন নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে কাজ করছেন তাঁরাও বিচার পান।’

যদিও অচিন্ত্য ও শুভদীপ জানিয়েছেন, ‘ছাত্র সমাজে’র নবান্ন অভিযানের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। তাঁরা আলাদা ভাবে এই অভিযানের ডাক দিয়েছেন। চাকরিপ্রার্থীদের অনেকে আবার বলছেন, তাঁরা নবান্ন অভিযানে নেই। সায় নেই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবির সঙ্গেও। যেমন— ধর্মতলায় সাড়ে ১২০০ দিনের বেশি ধর্না চলছে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের।

‘বঙ্গীয় ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা মঞ্চে’র চেনা মুখ শহীদুল্লাহর কথায়, ‘আরজি করের নারকীয় ঘটনার বিচার আমরাও চাই। কিন্তু রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে যাঁরা নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আমাদের নেই। এটা তো পুরো ইস্যুটাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা।’

নবান্ন অভিযানে ‘ছাত্র’ কারা! চিন্তায় প্রশাসন, দুশ্চিন্তা NET নিয়েও

রবিবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ দাবি করেন, তাঁর বাড়িতে গ্রুপ ডি, ওয়ার্ক এডুকেশন, আপার প্রাইমারি, প্রাইমারি, পিএসসির চাকরিপ্রার্থীদের একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে তাঁদের চাকরি নিয়ে যেমন কথা হয়েছে, তেমনই তাঁরা যাতে ২৭ তারিখের নবান্ন অভিযানে যোগ না-দেন, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

তফসিলি স্টুডেন্টস ফেডারেশনের তরফে এবং এসএসসি গ্রুপ সি চাকরিপ্রার্থী পিয়ালী মণ্ডল বলেন, ‘তন্ময়বাবুর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা ঠিক করেছি, এই নবান্ন অভিযানে আমরা কেউই যোগ দেবো না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *