- বিক্ষোভকারীদের নিক্ষেপ করা ইটে মাথা ফাটল র্যাফের এক জনের। ঘটনাটি ঘটেছে সাঁতরাগাছিতে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
- হাওড়া ব্রিজে উত্তেজনা:হাওড়া ব্রিজে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে জলকামান নিক্ষেপ পুলিশের। ব্যবহার করা হচ্ছে টিয়ার গ্যাসও। ছত্রভঙ্গ বিক্ষোভকারীরা।
- নবান্ন অভিযান ঘিরে সাঁতরাগাছিতে ধুন্ধুমার: সাঁতরাগাছিতে ব্যারিকেড ভেঙে এগোতেই আন্দোলনকারীদের দিকে জলকামান নিক্ষেপ পুলিশের।
- কোথায় কোথায় যান নিয়ন্ত্রণ
- বিদ্যাসাগর সেতু এবং খিদিরপুর রোড, তারাতলা রোড, কোল বার্থ রোড, ফিডার রোড, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোডে সোমবার রাত ১০টা থেকে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও মেয়ো রোড, আউট্রাম রোড, লাভার্স লেনে যানচলাচল করা হচ্ছে।
- ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর নবান্ন অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, বিধানসভা থেকে হাওড়া যাবেন তিনি। রাস্তায় থাকার কথাও জানান তিনি।
- নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে তপ্ত সাঁতরাগাছি। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। এরপরেই লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কিছু আন্দোলনকারীকে ব্যারিকেড তুলে অন্যত্র নিয়ে যেতে দেখা যায়।
- পুলিশের বাধা পেয়ে সাঁতরাগাছিতে ধর্নায় আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘নবান্ন অভিযান’-এর ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। এই অভিযানকে কেন্দ্র করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে পুলিশের তরফে। কড়া সুরক্ষা বলয় রয়েছে কলকাতা, হাওড়ার একাধিক অংশে।
এ দিন কলেজ স্কোয়ার এবং সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্টে জমায়েত হওয়ার কথা। এরপর দুই জায়গা থেকে মিছিল নবান্নের দিকে অগ্রসর হবে। কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিলটি নবান্নের দিকে এগিয়ে চলার কথা ধর্মতলা, ইডেন গার্ডেন্স, হেস্টিংস হয়ে। অন্যদিকে, সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ড থেকে অপর মিছিলটি এগিয়ে যাবে কোনা এক্সপ্রেস হয়ে। তা পৌঁছবে নবান্ন পর্যন্ত।
কড়া পুলিশি নিরাপত্তা
মঙ্গলবারের কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি রাজ্য পুলিশ। সোমবার দুপুরে অনুমতি চেয়ে দুটি ইমেল আসে পুলিশের কাছে। কিন্তু, সেখানে একাধিক সমস্যা থাকার কারণে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এই নবান্ন অভিযান ঠেকাতে তৎপর পুলিশ। কলকাতা এবং হাওড়া মিলিয়ে প্রায় ২১ হাজার পুলিশকর্মী এ দিন রাস্তায় থাকছে বলে সূত্রের খবর। নবান্ন যাওয়ার একাধিক পথগুলি ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। থাকছে জলকামান এবং ড্রোন। যাতে ব্যারিকেড টপকে কেউ এগিয়ে যেতে না পারে সেই জন্য অধিকাংশ জায়গায় ব্যারিকেজে গ্রিজ় লাগানো হয়েছে। প্রায় ১০ ফুট করা হয়েছে গার্ড রেলগুলির উচ্চতা। গার্ডরেলগুলি ভারী করার জন্য নীচে ব্যবহার করা হচ্ছে বালির বস্তা। সাঁতরাগাছি, ফরশোর রোড, মন্দিরতলা সহ বিভিন্ন জায়গায় এই ব্যরিকেড করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের আটকানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় ক্রেন দিয়ে কন্টেনার নামানো হয়েছে।
নবান্ন ও তার লাগোয়া এলাকা জুড়ে সারি সারি ব্যারিকেডের জেরে কার্যত অবরুদ্ধ জিটি রোড, আন্দুল রোড, ফোরশোর রোড।