গত ৯ অগস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুন, ধর্ষণের ঘটনায় প্রশ্ন ওঠে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। পাশাপাশি রাতের শহরের নিরাপত্তা নিয়েও ওঠে নানা অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা থেকে শুরু করে যানবাহনের ভিতরে যাতে অপরাধমূলক ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে চাইছে লালবাজার।
সূত্রের খবর, বৈঠকে ক্যাব সংস্থাগুলিকে জানানো হয়েছে, চালকের ভোটার কার্ড, আধার কার্ডের প্রতিলিপি এবং বর্তমানে তিনি কোথায় থাকেন, তা পুলিশের কাছে জমা করতে হবে। তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স, ছবি এবং মোবাইল নম্বরও জমা দিতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি, গত ১০ বছরে চালকের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের অভিযোগ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে সংস্থাকে।
যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে গাড়িতে কলকাতা পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর বড় হরফে লিখে রাখতে হবে। কালো কাচ লাগানো যাবে না এবং সরকারি বাসের মতো ক্যাবেও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কথা বলা হয়েছে। ইর্মাজেন্সি বাটন যাতে সক্রিয় থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকায় ক্রমশ বাড়ছে অ্যাপ ক্যাবের জনপ্রিয়তা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দিনে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ ক্যাব বুক করেন এই এলাকায়। সংস্থাগুলির আওতায় ২৫ হাজার গাড়ি চলে। নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের নির্দেশিকা প্রসঙ্গে অনলাইন অ্যাপ ক্যাব অপারেটর্স সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যাত্রী-সুরক্ষার স্বার্থে পুলিশকে সবরকম সহযোগিতায় আমরা প্রস্তুত।’
একই সঙ্গে তাঁর দাবি, সব চালক খারাপ নন। অনেক যাত্রীও মদ্যপ অবস্থায় গাড়িতে উঠে চালকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন, ভাড়া দেন না। সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হলে এই সব সমস্যাও এড়ানো যাবে বলে আশা ইন্দ্রনীলের।