সুকান্তের দাবি, ছাত্র-ছাত্রীদের এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের আচরণ মানুষ কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না। একাধিক জায়গায় ছাত্র-ছাত্রীরা পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। সুকান্ত বলেন, ‘আজকে বাংলার গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সুরক্ষা সমস্ত কিছু বিপন্ন।…এটা কোনও রাজনৈতিক দলের আন্দোলন ছিল না। এটা সাধারণ মানুষের আন্দোলন ছিল।’
অন্যদিকে, বিজেপির এই দাবিকে নস্যাৎ করেছে তৃণমূল। ছাত্র সমাজের ডাক দেওয়া আন্দোলনে ছাত্ররা কোথায় ছিল? প্রশ্ন তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। যেভাবে সমাজমাধ্যমে আওয়াজ তুলে নবান্ন অভিযানকে ‘ছাত্র আন্দোলন’-এর রূপ দেওয়া হচ্ছিল, সেখানে ছাত্রদের দেখা গেল কোথায়? খোঁচা তৃণমূলের। আদতে, নবান্ন অভিযানের পেছনে বিজেপির সম্পূর্ণ মদত ও সহযোগিতা ছিল বলেই দাবি তৃণমূলের। ‘বাংলার গণতন্ত্রকে বাঁচাতে’ এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সুকান্ত মজুমদারের।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এটা ছাত্রদের আন্দোলন? না সমাজবিরোধীদের আন্দোলন? এরা ছাত্র? সবাই দেখেছে কারা ব্যারিকেড ভাঙতে গিয়েছে।’ আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ করা প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘উন্মত্ত জনতাকে আটকাতে যেটা করা দরকার সেটুকুই পুলিশ করেছে। পুলিশ কোনও দমনপীড়ন করেনি।’
বিজেপির ডাকা সাধারণ ধর্মঘট হবে না বলেই জানিয়ে দেন কুণাল। কুণাল বলেন, ‘বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি! ওদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। এটা আসলে বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। কোনও ফাঁদে পা দেবেন না। আগামীকাল পশ্চিমবঙ্গের বুকে কোনও বাংলা বন্ধ হবে না। জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে।’ বিজেপির ডাকা বনধকে ব্যর্থ করার ডাক দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘ওদের চাহিদা ছিল জীবন্ত লাশ, পুলিশ সেই প্ররোচনায় পা দেয়নি। এবার আরেকটা বনধ ডেকে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।’ পুজোর আগে ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক সমস্যায় ফেলতে এই বনধ ডাকা হয়েছে। এই বনধ কোনওভাবেই হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন মন্ত্রী।