নবান্ন অভিযানের জন্য হাওড়া স্টেশন থেকে কলকাতার দিকে আসা বা কলকাতা থেকে হাওড়ার দিকে যাওয়ার জন্য যাত্রীদের প্রধানত নির্ভর করতে হবে ইস্ট- ওয়েস্ট মেট্রো এবং গঙ্গায় ফেরি পরিষেবার উপর। মঙ্গলবার ফেরি পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার কথা জানিয়েছে রাজ্য পরিবহণ নিগমের শীর্ষ আধিকারিকেরা। হাওড়া এবং সাঁতরাগাছি ছুঁয়ে চলা সরকারি পরিবহণ নিগমের একাধিক বাস বিবাদী বাগ বা ডালহৌসি এলাকা থেকে কলকাতা, সল্টলেক, নিউ টাউন, ই এম বাইপাস, কামালগাজি অভিমুখে চালানো হতে পারে।
কোন রাস্তায় বিধিনিষেধ থাকছে?
১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যে গাড়িগুলি আসছে এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতু ধরে কলকাতার দিকে যাবে, সেগুলি নিবরা থেকে নিবেদিতা সেতু ধরে কলকাতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, কলকাতার দিক থেকে আসা যে গাড়িগুলি হাওড়া ব্রিজ বা দ্বিতীয় হুগলি সেতু ধরত, সেগুলি জিটি রোড দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে নিবেদিতা সেতু ধরে চলবে। উল্টোদিকে, কলকাতা থেকে আগত হাওড়ামুখী গাড়িগুলি নিবেদিতা সেতু ধরে গন্তব্যে চলে যাবে। হাওড়া ব্রিজ বা দ্বিতীয় হুগলি সেতু ধরতে হবে না।
আন্দুল রোডে আলমপুর থেকে লক্ষ্মী নারায়ণতলা মোড়, ফোরশোর রোড-কাজিপাড়া থেকে রামকৃষ্ণপুর ক্রসিং, হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্র্যান্ড ফোরশোর রোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকছে। এছাড়া, নিবরা-২ পয়েন্ট (নিবরা হাইস্কুল) থেকে কলকাতামুখী গাড়িগুলিকে নিবেদিতা সেতুর দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ডোমজুড় থেকে কলকাতার দিকে যাওয়া গাড়িগুলিকে নিবেদিতা সেতুতে নিয়ে যাওয়া হবে।
শানপুর মোড় থেকে কলকাতার দিকে আসা গাড়িগুলি ইস্ট-ওয়েস্ট বাইপাস-ফাঁসিতলা বা বেনারস রোড-সালকিয়া হয়ে যাবে। চ্যাটার্জিপাড়া থেকে কলকাতার দিকে যে গাড়িগুলি যাবে, সেগুলি ইস্ট-ওয়েস্ট বাইপাস-ফাঁসিতলা বা বেনারস রোড-সালকিয়া ধরে যেতে পারবে। নিরবা-১ এবং নিরবা-২ পয়েন্ট, মন্দিরতলার দিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর র্যাম্প, সলপ মোড়ের কাছে টিসি মোটর, সলপ বাজার, হাওড়া রেলওয়ে মিউজিয়াম রোড, শালিমার (আন্দুল রোড, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে) রাস্তায় ভারী পণ্যবাহী গাড়ি ও অটো/টোটো চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।