Rg Kar News,স্কুল ইউনিফর্মে পড়ুয়াদের মিছিল, পাশে ‘বড়দি’-ও, চর্চায় ঘাটালের স্কুল – kharar school students organized a rally in protest of rg kar case


সমীর মণ্ডল, ঘাটাল
আরজি কর কাণ্ডে ক্লাসের সময় প্রতিবাদ মিছিল করার জন্য হাওড়ার তিনটি স্কুলকে শো-কজ করেছিল রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। বালুহাটি গার্লস হাই স্কুল, ব্যাঁটরা রাজলক্ষ্মী বালিকা বিদ্যালয় এবং হাওড়ার বালুহাটি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের মিছিলে অংশ নেওয়ার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল।এরই মধ্যে সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের খড়ার সূর্য কুমারী হেমাঙ্গিনী হাইত বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এবং ছাত্রীরা আরজি কর নিয়ে একটি প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিলেন। স্কুল ইউনিফর্ম পরেই মিছিলে দেখা গেল ছাত্রীদের। মিছিলে ছিলেন স্কুলের বড়দি। গোটা খড়ারে মিছিলটি পরিক্রমা করে। ছাত্রীদের দাবি ছিল, তারা সরকারি নির্দেশ মান্য করে স্কুলের পর প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন।

‘নারী জাগরণ মঞ্চ’-এর ডাকা মিছিলে পা মেলান স্কুলের পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষিকাও। খড়ার সূর্য কুমারী হেমাঙ্গিনী হাইত বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেশমী চক্রবর্তী বলেন, ‘সরকারি নির্দেশ ছিল, আছে, থাকবে। কিন্তু, সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে মানবিকতা। আমরা স্কুলের পর এই মিছিলে অংশ নিয়েছি। আমরা প্রতিদিন পড়ুয়াদের শিক্ষা দিই, সমস্যা এলে নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। আরজি করের নির্যাতিতারও অনেক স্বপ্ন ছিল। আমরা কেঁপে উঠেছি এই খবর শুনে।’

তাঁর সংযোজন, ‘নারী জাগরণ মঞ্চ’ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। তবে আমাদের বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।’ স্কুলের এই মিছিল নিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, গত ২২ অগস্ট পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) স্বপন সামন্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন।

সেখানে বলা হয়েছিল, জেলার পড়ুয়ারা স্কুলের বাইরে কোনওরকম কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। প্রাথমিক স্কুল, আপার-প্রাইমারি এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। যদিও এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করা হয়েছিল । এবার ২২ অগস্টের সেই নির্দেশিকা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিলেন ডিআই স্বপন সামন্ত। তিনি নতুন নির্দেশিকা জারি করে জানান, ২৩ অগস্ট শিক্ষা দপ্তরের তরফে যে সার্কুলার পাঠানো হয়েছে তা মানলেই হবে। যার অর্থ, স্কুল চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে, অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে আর বাধা রইল না, এমনটাই মনে করছেন বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *