এই কাজের জন্য ৩০০ জন কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রায় ৪৫টি গাড়িতে করে বর্জ্য পদার্থগুলি সংগ্রহ করে প্রতিটি ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্র পরিচালনার জন্য একটি করে স্বনির্ভর গোষ্ঠী যুক্ত থাকবে। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘প্লাস্টিক মুক্ত অঞ্চল গড়তে নতুন ১৫টি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র তৈরি করা হলো। এই নিয়ে জেলায় মোট ১৩১টি কেন্দ্র তৈরি করতে পেরেছি।’
অন্যদিকে, সাগর ব্লক জুড়ে ১২০ মাইক্রোনের নীচে প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্লক প্রশাসন। প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কথা স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও তীর্থযাত্রীদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েতেই জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসনের তরফে একটি টাস্কফোর্সও গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি সাগরের বিডিও কানাইয়াকুমার রায় বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের ১২০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ব্যবহার করতে বারণ করেন৷ বিডিও বলেন, ‘আমাদের ব্লকের ঘোড়ামারা দ্বীপে ইতিমধ্যে ১২০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে পেরেছি। এই মডেলকে সামনে রেখে গোটা ব্লক জুড়ে আমরা কাজ করব। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা কোনও সমস্যায় পড়বেন না। সারা বছর ধরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা যে বিকল্প ব্যাগ তৈরি করেন, সেগুলোর জোগান আরও বাড়ানো হবে।’