ছিল শুকনো রাস্তা, কিন্তু রাতারাতি তা হয়ে গেল ‘তেলের নদী’! আম জনতার চোখ কপালে। কিন্তু, বিষম খাওয়ার অবকাশটুকুও অপচয় করতে চাননি অনেকেই। ঘটি, বাটি, বালতি নিয়ে তেল সংগ্রহ করতে দেখা গেল অনেককেই। বুধবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল হলদিয়ায়।এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ হলদিয়ার চিরঞ্জীবপুরে ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন ফেটে রাস্তায় জমা হয় অপরিশোধিত ভোজ্য তেল। জানা গিয়েছে, হলদিয়া শিল্প তালুকে একটি বেসরকারি সংস্থার ভূগর্ভস্থ পাইপলাইট ফেটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। হলদিয়া বন্দরের জাহাজ থেকে অপরিশোধিত পাম অয়েল পাইপ লাইনের মধ্য দিয়ে সরাসরি কারখানায় সরবরাহ করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। আর সেই পাইপলাইন ফেটেই ঘটে বিপত্তি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছনোর আগেই এলাকাবাসী ঘটনার বিষয়ে জানতে পারেন এবং তেল সংগ্রহ করতে শুরু করেন। পরে অবশ্য পুলিশ ঘিরে সকলকে সরিয়ে দেয় এবং এলাকাটি ঘিরে ফেলে।
ওই বেসরকারি তেল কারখানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘প্রায় ৪০ মেট্রিক টন অপরিশোধিত পামওয়েল অপচয় হয়েছে এই ঘটনায়। যার বাজারমূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।’ কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল? নেপথ্যে কি কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
ওই বেসরকারি তেল কারখানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘প্রায় ৪০ মেট্রিক টন অপরিশোধিত পামওয়েল অপচয় হয়েছে এই ঘটনায়। যার বাজারমূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।’ কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল? নেপথ্যে কি কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
তবে এই ঘটনায় পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে মহকুমা শাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। বহুদিনের পুরনো পাইপলাইন। হয়তো মরচে পড়েই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে।’