অন্যদিকে, ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে মিছিল। সেই সময় জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, এই নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে দায়ের হয় অভিযোগ। তার প্রেক্ষিতেই কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে নোটিস জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়ো রোডে আয়োজিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে নবান্ন অভিযানের দিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন। সার্বিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সংযম এবং ধৈর্য্য দেখিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ সংযত ছিল। কারও মাথা ফাটিয়েছে, হাত পা ভেঙে দিয়েছে। তাও আমি পুলিশকে ওই দিনের জন্য স্যালুট করি। ওরা রক্ত দিয়েও সংযত থেকেছে। বিজেপির চক্রান্তের কাছে মাথানত করেনি।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলার লোক নবান্ন চেনে না? রাজভবন চেনে না? আমি দেখলাম রাজভবনের দক্ষিণ গেটেও অনেকে ঢিল মেরেছে। এরা কারা? কোথা থেকে এসেছে?’ ছাত্র-ছাত্রী, শুভবুদ্ধি সম্পন্নরা ‘নবান্ন অভিযান’-এর সঙ্গে ছিলেন না বলেও মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।