তবে অভাব অভিযোগের সবটাই হতে হবে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রিক। লোকসভার অধীন ব্যারাকপুর, নোয়াপাড়া, জগদ্দল, ভাটপাড়া, নৈহাটি, বীজপুর ও আমডাঙা এই সাতটি বিধানসভার মানুষ সহজেই ওই অ্যাপের মাধ্যমে স্থানীয় কোনও সমস্যা বা অভাব অভিযোগ জানাতে পারবেন। এলাকা ভিত্তিক সেই অভিযোগ সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হবে স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েতের কাছে।
তাদেরও একটি করে রেজিস্টার মেনটেন করতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পাঠানোর পর সমাধানের অগ্রগতি কতটা সেটিও নিয়ম করে জানাতে হবে তাদের।
পার্থ বলেন, ‘ওই অ্যাপেই থাকবে একটি প্যানিক বাটন। আমার সংসদীয় এলাকার কোনও জায়গায় কোনও মহিলা হেনস্থা হলে ওই প্যানিক বোতাম টিপলেই লোকেশন ধরে সহজেই স্থানীয় থানায় পৌঁছে যাবে বিপদ সঙ্কেত। সেই মতো পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারবে।’ ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘এটি কার্যকর হলে মহিলাদের নিরাপত্তা আরও বেশি করে সুরক্ষিত হবে ব্যারাকপুরে।’
এ দিন সাংসদ পার্থ ভৌমিকের ডাকে ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত হয় প্রশাসনিক বৈঠক। সেখানে জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী থেকে মহকুমা শাসক সৌরভ বারিক, পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) অতুল বিশ্বনাথন-সহ ব্যারাকপুর সংসদীয় এলাকার সমস্ত বিধায়ক, পুর ও পঞ্চায়েত প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা।
ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি থেকে জেলা পরিষদ সদস্যরাও। কেএমডিএ, সেচ, পূর্ত-সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরাও হাজির ছিলেন। সেখানেই ব্যারাকপুরে বেআইনি অটো ও টোটোর সমস্যা নিয়ে প্রায় প্রত্যেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেন। পার্থও পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের কাছে বিষয়টি দেখার আবেদন জানান।
বৈঠকে অটো-টোটো নিয়ন্ত্রণে ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ বারিকের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে এ দিন। ওই কমিটিতে পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধির সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট পুরসভার চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি এবং ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। কমিটির প্রথম কাজ বৈধ এবং অবৈধ অটো ও টোটোর সংখ্যা খুঁজে বের করা এবং অবৈধদের রাস্তায় চলতে না দেওয়া।
পার্থ বলেন, ‘মানুষের স্বার্থ সবার আগে। তাই অটো ও টোটো নিয়ে কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য একটাই মানুষের দুর্ভোগ কমানো।’ বৈঠকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের দু’পাশে একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যাওয়া, নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন, ব্যারাকপুর-বারাসাত রোড সুভাষ কলোনি থেকে ওয়্যারলেস মোড় পর্যন্ত চওড়া করা ও পঞ্চায়েত এলাকার রাস্তাঘাট নিয়েও আলোচনা হয়।
আগামী ১০ নভেম্বর পরবর্তী প্রশাসনিক বৈঠকে কাজের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা হবে। উল্লেখ্য, এ দিনের বৈঠকে তৃণমূলের বিধায়ক, পুরপ্রধানরা উপস্থিত থাকলেও ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক, অর্জুন সিংয়ের পুত্র পবন সিং উপস্থিত ছিলেন না।