কী কারণে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। অন্যদিকে, পালিয়ে যাওয়া আরও ৪ বাংলাদেশির খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বনদপ্তর এবং পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় টহলদারি সময় বনদপ্তরের কর্মীদের নজরে আসে একটি ডিঙি নৌকা। নৌকা থামিয়ে আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন বনকর্মীরা। অভিযোগ, ভারতে ঢোকার কোনও বৈধ নথি তাঁরা দেখাতে পারেননি। সেই কারণে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ১১ জনকেই। ধৃত পুরুষ বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ। কোন উদ্দেশ্যে তাঁরা প্রবেশ করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ। মহিলা এবং শিশুদের সরকারি হোমে পাঠানো হতে পারে বলে জানাচ্ছে পুলিশের একাংশ।
সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিস্তর বদলেছে। ছাত্র আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। আপাতত বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে, যার প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসকে। রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্যই বাংলাদেশিরা ভারতে আশ্রয় নিতে চাইছিলেন বলে পুলিশের অনুমান।