বাস চালক হাত বাড়িয়ে কিছু একটা দিচ্ছেন। সেটি নিচ্ছেন এক কলকাতা পুলিশ কর্মী। এমন একটি ছবি ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। আরজি কর কাণ্ডের মাঝেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সেই আগুনে ঘি ঢালে এই ছবিটি। পুলিশ ‘ঘুষ’ নিচ্ছে এমনই অভিযোগ তুলে নেট মাধ্যমে আক্রমণ শুরু করেন অনেকেই।সেই ছবিটি তুলে ধরে আসল রহস্য উদঘাটন করল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ছবিতে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তিনি কলকাতা পুলিশের সহকর্মী উল্টোডাঙা ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট। পুলিশের দাবি, তিনি গত ২৫ অগস্ট সকাল দশটা নাগাদ খান্না মোড়ের কাছে একটি বেসরকারি বাস আটক করেন। পথচলতি যানবাহনের অসুবিধা ঘটানোর জন্য জরিমানা করেন চালককে। প্রদেয় রিসিট-সহ জরিমানার করা হয় ৫০০ টাকা।
কলকাতা পুলিশের তরফে ওই বাস চালককে জরিমানা করার নথিও তুলে ধরা হয় সমাজমাধ্যমে। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী সেই স্পট ফাইনের টাকা গ্রহণ করছিলেন ওই পুলিশ কর্মী। সেই টাকা জমা পড়বে সরকারি কোষাগারে। এখানে কোনও পুলিশ কর্মী ঘুষ নেয়নি বলে দাবি করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের তরফে ওই বাস চালককে জরিমানা করার নথিও তুলে ধরা হয় সমাজমাধ্যমে। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী সেই স্পট ফাইনের টাকা গ্রহণ করছিলেন ওই পুলিশ কর্মী। সেই টাকা জমা পড়বে সরকারি কোষাগারে। এখানে কোনও পুলিশ কর্মী ঘুষ নেয়নি বলে দাবি করা হয়েছে।
পুলিশের তরফে বলা হয়, সমাজমাধ্যমে এই ছবিটি দেখার পর সঠিক যাচাই না করেই অনেকে কুকথা বলা শুরু করে দিয়েছিলেন। পুলিশের কথায়, ‘ছবিটিকে ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যঙ্গ, কটাক্ষ এবং গালাগালির স্রোত। ‘ঘুষখোর’ পুলিশকে নিয়ে বানিয়ে ফেলা হয়েছে মিম। যত বেশি গালাগালি, তত বেশি লাইক, তত বেশি শেয়ার!’
কলকাতা পুলিশের ফেসবুক প্রোফাইলে লেখা হয়, ‘ভালমন্দ সব পেশাতেই আছে, পুলিশেও আছে। কাজে ভুল-ত্রুটি বা অন্যায় হলে নিশ্চয়ই তা আমাদের গোচরে আনুন। সমালোচনা করুন, আমরা সাধ্যমতো ব্যবস্থা নেব। তবে পুরোটা না জেনে ভুল তথ্য প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না, অনুরোধ এটুকুই।’ একটি নির্দিষ্ট ঘটনার জন্য গোটা পুলিশমহলকে কাঠগড়ায় তোলার যৌক্তিকতা কোথায়? সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।