স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মহিলার বাড়ি দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকের নিগমনগরে। শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই মহিলাকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই ওই প্রতিবাদী মহিলা SUCI-র স্থানীয় নেতা আজিজুল হককে সঙ্গে নিয়ে দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। অভিযোগ, সেই সময় থানার বাইরে আজিজুলের ওপর হামলা চালানো হয়। শাসক দলের স্থানীয় কিছু কর্মী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
ওই মহিলা বলেন, ‘আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় প্রথম দিন থেকে আন্দোলন করে আসছি। সেই কারণেই হয়তো আমাকে এই ধরণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জানাতে গিয়েও আমাদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।’ SUCI-র নেতা আজিজুল হক বলেন, ‘থানায় অভিযোগ জানানোর জন্য আমি যখন অভিযোগ পত্র ফটোকপি করছিলাম, সেই সময় তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী আমায় মারধর করে।’
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতা বিশু ধর বলেন, ‘অভিযোগ ভিত্তিহীন।’ তৃণমূলের কেউ হামলা চালায়নি বলে দাবি করেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিনহাটা থানার পুলিশ। দিনহাটা থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। আরজি কর হাসপাতালে নারকীয় ঘটনার পরে গোটা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ প্রতিবাদ করছেন। নারী সুরক্ষার দাবিতে আওয়াজ তোলা হচ্ছে। এর মাঝেই কোচবিহারের এই ঘটনা শোরগোল ফেলেছে।