জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১ সেপ্টেম্বর, একলা নয়। বেশ কিছুদিন আগেই রবিবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মহামিছিলের ডাক দিয়েছিলেন মহিলাদের একটি দল, আমরা তিলোত্তমা। সেই মতো এদিন দুপুর ৩টে থেকে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলে যোগ দেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই মিছিলে পা মেলালেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন মেয়ের কাছে বিদেশে ছিলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি দেশে ফিরেই রবিবার পথে নামলেন স্বস্তিকা।
আরও পড়ুন- Doctor’s Strike: অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসককে মারধর, অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে ডাক্তাররা…
এদিন নারী সুরক্ষা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্বস্তিকা। অভিনেত্রী বলেন, ‘সব সময় মেয়েরা খাঁড়ার সামনে ঝুলছে। কিন্তু এতদিন আমরা বাইরে বলতাম যে আমাদের শহর কলকাতা নিরাপদ। সেখানে এরকম নৃশংস ঘটনা ঘটে গেল। ২৩ দিন হয়ে গেল, কোনও কিছুই এগোচ্ছে না। নাগরিক হিসাবে এটা ভাবা আমার কাছে কষ্টকর যে এত বড় ঘটনা একজনই ঘটিয়েছে। যদি এতই সহজে তাকে ধরে ফেলা হয়, তাহলে কেন বাবা-মাকে সুইসাইড বলা হল, কেন তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হল?’
স্বস্তিকা আরও বলেন, ‘হসপিটালের মতো জায়গাও সুরক্ষিত নয়। আজও হাওড়ায় একটা কাণ্ড ঘটেছে। এত মানুষ ২৩ দিন ধরে প্রতিবাদ করছে, তবুও পুরুষ মানুষ এই নিকৃষ্ট কাজ করছে, তারা কোথা থেকে সাহস পাচ্ছে! যে মানসিকতা থেকে পুরুষরা ধর্ষণ করছে, তারা বিশ্বাস করছে যে কিচ্ছু হবে না। আমাদের দেশে নির্যাতিতাকে হয়রান হতে হয়, তবে দোষীরা পার পেয়ে যাবে। কিন্তু ঘটনার তদন্ত কতটা এগিয়েছে, তা এখনো আমরা জানি না। কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সিবিআইয়ের তদন্ত কোন পথে চলছে, খবর আমাদের কাছে নেই। সরকারের তো একটা দায়বদ্ধতা আছে। নির্যাতিতার বাবা-মাকে জবাব দেওয়ারও তো একটা দায়বদ্ধতা আছে।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘সরকারের উঠে পড়ে কিছু করা উচিত, যেখানে আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী নিজে একজন মেয়ে। ভাবলেই তো শরীরটা খারাপ লাগছে যে কী যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে ওই মেয়েটার মৃত্যু হয়েছে। সাধারণ নাগরিক হিসেবে আর কী কী করতে পারি, যাতে সরকারের ঘুম ভাঙে, সেটাই দেখছি। নির্যাতিতার বাবা-মাও তাই চান।’
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)