অন্যদিকে, দুর্নীতির মামলায় সন্দীপ গ্রেপ্তার হতে অনেকটাই স্বস্তি দেখছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এই গ্রেপ্তারি বহু কাঙ্খিত। আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম, খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হবেন কিনা জানি না, তবে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হবেন। সেটাই হয়েছে। যাই হোক, নাই মামার থেকে কানা মামা ভালো। সারা বাংলার মানুষ এটা চাইছিল।’
বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় বলেন, ‘এতদিন গ্রেপ্তার হচ্ছিলেন না কেন, সেটাই আশ্চর্য। এই দুর্নীতির সঙ্গে আরও কারা যুক্ত, এর মাথা কে আছে, সেটাও খুঁজে বের করা দরকার বলে আমি মনে করি। সন্দীপ ঘোষকে এতদিন কারা প্রশয় দিয়ে রেখেছিল, দুর্নীতির ফাইল কেন চাপা পড়েছিল, সেই প্রশ্নগুলো থাকবে।’
উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগের পাশাপাশি আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও উঠতে শুরু করে। তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে তার ইস্তফার দাবি করেন সেখানকার জুনিয়র ডাক্তারেরা। আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের জন্য গত ১৬ অগস্ট সিট গঠন করে রাজ্য সরকার। যদিও, সিটের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই।